ঢাকা , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বামী মুফতি তালহার বিরুদ্ধে সাবেক মডেল হ্যাপির মামলা

সাবেক মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপী, যিনি ইসলাম গ্রহণের পর আমাতুল্লাহ নাম গ্রহণ করেছেন, তার স্বামী মুফতি মোহাম্মদ তালহা ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর সম্প্রতি তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

গত বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হ্যাপীর পক্ষে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি জানান, ৭ বছর আগে নড়াইলের প্রয়াত সাবেক এমপি মুফতি শহিদুল ইসলামের ছেলে মুফতি তালহার সঙ্গে হ্যাপীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই হ্যাপী জানতে পারেন, তার স্বামী একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং স্বল্প সময়ের জন্য একের পর এক বিয়ে করেন। তার দাবি অনুযায়ী, তালহা ইসলাম এ পর্যন্ত ৯টি বিয়ে করেছেন।

হ্যাপীর অভিযোগ, চারিত্রিক সমস্যার পাশাপাশি তালহা যৌতুকের জন্যও তাকে মারধর করতেন। সামান্য কথার বিরোধ হলেই চলতো শারীরিক নির্যাতন। হ্যাপী বলেন, “তার প্রকৃত রূপ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই আমি তালাক চাইতাম, কিন্তু প্রতিবারই সে আরও নির্মম নির্যাতন চালাতো।” তালাকের বিনিময়ে তালহা কখনো এক কোটি টাকা, আবার কখনো সন্তানকে আজীবনের জন্য ছেড়ে দেওয়ার মতো কঠিন শর্ত দিতেন।

মামলা করার পর থেকেই হ্যাপী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। তার অভিযোগ, মামলার পরদিনই তালহা লোকজন নিয়ে বাসায় এসে তার ব্যবসায়িক প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। পাশাপাশি মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

হ্যাপী বলেন, “এতদিন মারধরের ভয়ে চুপ ছিলাম। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় সবকিছু প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি।”

তালহা ইসলামের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।

Tag :
জনপ্রিয়

স্বামী মুফতি তালহার বিরুদ্ধে সাবেক মডেল হ্যাপির মামলা

আপডেট সময়: ০২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

সাবেক মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপী, যিনি ইসলাম গ্রহণের পর আমাতুল্লাহ নাম গ্রহণ করেছেন, তার স্বামী মুফতি মোহাম্মদ তালহা ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। দীর্ঘদিন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর সম্প্রতি তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

গত বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হ্যাপীর পক্ষে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি জানান, ৭ বছর আগে নড়াইলের প্রয়াত সাবেক এমপি মুফতি শহিদুল ইসলামের ছেলে মুফতি তালহার সঙ্গে হ্যাপীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরই হ্যাপী জানতে পারেন, তার স্বামী একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং স্বল্প সময়ের জন্য একের পর এক বিয়ে করেন। তার দাবি অনুযায়ী, তালহা ইসলাম এ পর্যন্ত ৯টি বিয়ে করেছেন।

হ্যাপীর অভিযোগ, চারিত্রিক সমস্যার পাশাপাশি তালহা যৌতুকের জন্যও তাকে মারধর করতেন। সামান্য কথার বিরোধ হলেই চলতো শারীরিক নির্যাতন। হ্যাপী বলেন, “তার প্রকৃত রূপ প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই আমি তালাক চাইতাম, কিন্তু প্রতিবারই সে আরও নির্মম নির্যাতন চালাতো।” তালাকের বিনিময়ে তালহা কখনো এক কোটি টাকা, আবার কখনো সন্তানকে আজীবনের জন্য ছেড়ে দেওয়ার মতো কঠিন শর্ত দিতেন।

মামলা করার পর থেকেই হ্যাপী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। তার অভিযোগ, মামলার পরদিনই তালহা লোকজন নিয়ে বাসায় এসে তার ব্যবসায়িক প্রায় ৫০-৬০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। পাশাপাশি মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

হ্যাপী বলেন, “এতদিন মারধরের ভয়ে চুপ ছিলাম। এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় সবকিছু প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছি।”

তালহা ইসলামের বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, তিনি বর্তমানে দুবাইয়ে অবস্থান করছেন।