ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার নাম নয়, আমার লেখা আপনাদের হৃদয়ে বাঁচুক — আশরাফ আহমেদ।

“সবকিছু একদিন ঠিক হোক বা না হোক, সবকিছু একদিন স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমরা মানিয়ে নিতে নিতে অভ্যস্ত হয়ে যাই।”

 

এই এক বাক্যেই বোঝা যায় কেন সময়ের আলোচিত লেখক পাঠকের হৃদয়ে এত দ্রুত জায়গা করে নিতে পেরেছেন। যার লেখায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে বাস্তবতা। প্রতিটি কথায় পাঠক খুঁজে পান নিজের না বলা কথা। যার লেখার প্রতিটি লাইন পাঠককে অনুভব করায় “এ তো আমারই মনের কথা।”

 

আড়ালে থেকেও আলোচনায়। বলছিলাম সময়ের আলোচিত লেখক আশরাফ আহমেদের কথা। যার পুরো নাম আশরাফ আহমেদ তাকদির। তিনি নিজেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন, তবে তার কলমের ছোঁয়ায় পাঠকের হৃদয় অবশ্যম্ভাবী ভাবে স্পর্শিত হয়। বর্তমান সময়ে, নিজেকে আড়ালে রেখে শুধুমাত্র কলমের মাধ্যমে পরিচিতি তৈরি করা লেখকদের মধ্যে আশরাফ আহমেদ অন্যতম একজন। তার অনুরাগীরা লেখককে ঘিরে অদ্ভুত উন্মাদনা অনুভব করেন, জানতে চান কে এই মানুষ? তবে লেখক নিজেকে এখনই প্রকাশ্যে আনতে চান না।

 

  • কেনো নিজেকে আড়ালে রাখেন এবং কখনো প্রকাশ্যে আসার ইচ্ছে আছে কি’ এমন প্রশ্নে লেখক জানান।

 

– বাংলাদেশে সাহিত্যের যে আবহাওয়া, তাতে লেখক নিজে খুব উদ্যমী হয়ে এগিয়ে না এলে তাকে অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিতির অসুবিধায় ভুগতেই হয়। এই ধারণা ভাঙতে চাই আমি। আমি চাই নিজেকে আড়ালে রেখে, শুধুমাত্র নিজের কাজ দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে। এই প্রত্যাশা নিয়েই আমার প্রতিটি লেখা। আমি চাই সবাই শুধু আমার লেখাকে জানুক। নিজেকে সবার সামনে প্রকাশ করতে এখনো অনেক পরিশ্রম বাকি। কারণ আমি আমার সর্বোচ্চটুকু পাঠকদের উপহার দিতে চাই।”

 

লেখকের কাছে জানতে চাই তাকে ঘিরে পাঠকমহলে থাকা নানানরকম প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়েই।

 

  • আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? উত্তরে লেখক জানান।

 

–– আমি চাই আমার গল্প শুধু বইয়ের পাতায় আটকে না থাকুক। চাই, তা মঞ্চে, গানে, কিংবা সিনেমায় প্রাণ পাক। প্রতিটি লেখা আমার কাছে কেবল শব্দ নয়, বরং একেকটি জীবনের প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবি যখন পাঠক কিংবা শ্রোতার মনে আলো জ্বালাবে, তখনই আমি বিশ্বাস করবো আমার লেখার যাত্রা পূর্ণতা পেয়েছে।

 

  • আপনার লেখা অত্যান্ত হৃদয়স্পর্শী এতে সন্দেহ নেই। তবুও যদি জানতে চাই কেনো আপনার লিখা পাঠকমহলে এতো গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে কি মনে হয় আপনার?

 

— আমি বাস্তবতা নিয়ে লিখতে পছন্দ করি। জীবনের প্রতিটি ধাপে মানুষ বিভিন্নরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। আমি সেই পরিস্থিতি নিয়ে লিখতে পছন্দ করি। কখনো হতাশা, কখনো থেমে না থাকার গল্প, কখনো কখনো গভীর প্রেমের সংকেত তবে সেখানে বাস্তবতা কে বাঁচিয়ে রেখে লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রতিটি পাঠক সেই লেখা গুলো নিজের সাথে মেলাতে পারে বলেই হয়তো আমার লেখা তারা পড়েন। গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু হয়েছে জানিনা, সেটা পাঠকরাই ঠিক করবেন। তবে আমি সবসময় এই চেষ্টাই করি যেনো প্রতিদিন অন্তত একজন হলেও নতুন পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারি।

 

  • হৃদয় ভেঙে যাওয়া লেখার জন্য কতটা প্রভাব ফেলে?

 

—দুঃখ মানুষকে শক্ত করে। কলমে সেই শক্তি স্থান পায়। ভালোবাসা কখনোই চিরতরে হারায় না; হয়ত মানুষটি আমাদের পাশে থাকে না, অথবা আমরা তাকে রাখতে পারি না। তবে সেই অনুভূতি ও স্মৃতি গুলো আমাদের সাথে থেকে যায়। যা আমাদের লেখার মধ্যে অনন্তকাল ধরে বাঁচে।

 

  • জীবনে এমন কি কোনো মানুষ আছে, যার জন্য আপনি এখনো আলাদা কোনো অনুভূতি রাখেন?

 

—হ্যাঁ, আছে। কিছু মানুষ এমনভাবে ছাপ রেখে যায় যে, তারা চলে যাওয়ার পরও স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। আর কখনো দেখা হয়না, কখনো কাছাকাছি থাকার সুযোগ হয় না তবুও কোথাও না কোথাও তারা থেকে যায়। তাদের ছায়া আমার জীবনের ছোট ছোট অনুভূতিতে, নিজের লেখা বা সঙ্গীতের নিঃশব্দে উপস্থিত থাকে।

 

  • পাঠক প্রতিক্রিয়া কেমন অনুভব করেন?

 

—আমার প্রথম বই ‘শেষ অধ্যায়’ প্রকাশিত হওয়ার পর পাঠকদের যে প্রতিক্রিয়া আমি পেয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম বই হিসেবে একজন লেখকের জন্য এমন ভালোবাসা পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমার প্রতি পাঠকের এই অবিচল ভালোবাসাই আমার লেখার সবচেয়ে বড় সম্মাননা ও অনুপ্রেরণা।

 

  • যদি কখনো কাউকে ভালোবাসেন এবং নিজের কোন লিখা দিয়ে তার সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা করার সুযোগ হয় কোন লিখাটা উৎসর্গ করবেন?

 

“তোমার চাহুনিতে মিশ্রিত পৃথিবীর নিষিদ্ধ কোনো মাদক, নয়তো এমন করে আমার মস্তিষ্ক শূন্য হয়ে যায় কেনো তোমার দিকে তাকাতেই? মনে হয় যুগের পর যুগ তাকিয়ে থাকি তোমার চোখের দিকে।

তুমি এমন করে তাকাও; আমার বুকে বইতে থাকা সমুদ্র মুহূর্তের মধ্যে শুকিয়ে যায়। হয়ে উঠে মরুভূমিতে ফুল বাগান। অনুভব হয় এই চোখ জোড়া আমার সমস্ত ক্লান্তির সমাপ্তি!”

 

  • আপনার প্রথম বই “শেষ অধ্যায়” এত ভালোবাসা পেয়েছে, পাঠকের জানার কৌতূহল নতুন বই কি আসছে শিগগিরই?

 

–– বই লেখা আমার কাছে কখনো পরিকল্পনা নয়, বরং এক ধরনের আত্মমুক্তি। যখন ভেতরের শব্দগুলো আর ধরে রাখা যায় না, তখনই তারা বই হয়ে জন্ম নেয়। নতুন বই আসবেই, তবে কবে আসবে তা আমি বলি না বলুক আমার কলম। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সেরা লেখা সবসময় নির্দিষ্ট সময়ে নয়, নিজের সময়ে জন্ম নেয়।

 

  • শেষ অধ্যায় বইয়ের কোন লিখাটি লেখকের চিন্তাধারা কিংবা ব্যক্তিত্ব কে বর্ণনা করে?

 

–– বইয়ের প্রথম লিখাটি।

 

 

প্রথম বই “শেষ অধ্যায়” পাঠকদের অগাধ ভালোবাসা পেয়েছেন আশরাফ আহমেদ। একেকটি লাইনে তিনি যেন পাঠকের নিজস্ব অনুভূতিই তুলে ধরেন। আর সেখানেই তিনি অন্যের মাঝে অনন্য, নিজেকে আড়ালে রেখে তিনি পাঠকের মনের কথাগুলো নিজের কলমের মাধ্যমে রূপ দেন। তার উত্তরগুলোতেও সেই গভীরতা, সেই নীরব সৌন্দর্য বারবার ধরা পড়ে। তিনি কথা বলেন কম, কিন্তু প্রতিটি বাক্য যেন খোলা আকাশের মতো বিস্তৃত হয় পাঠকের ভেতরে।

 

 

আশরাফ আহমেদের লেখার মধ্যেই রয়েছে তার সত্যিকারের পরিচয়, আর তাই হয়তো তিনি নিজেই বলেন “আমাকে জানার দরকার নেই, আমার লেখা আপনাদের জানুক। আপনারা আমার লেখাকে জানুন।”

 

প্রথম বইয়েই পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া এই লেখক নিঃসন্দেহে সমকালীন সাহিত্যে এক উজ্জ্বল নাম হয়ে উঠবেন। পাঠকের এই উন্মাদনা, এই ভালোবাসা হয়তো তার কলমকে আরও বহুদূর নিয়ে যাবে।

আমার নাম নয়, আমার লেখা আপনাদের হৃদয়ে বাঁচুক — আশরাফ আহমেদ।

আপডেট সময়: ০৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

“সবকিছু একদিন ঠিক হোক বা না হোক, সবকিছু একদিন স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমরা মানিয়ে নিতে নিতে অভ্যস্ত হয়ে যাই।”

 

এই এক বাক্যেই বোঝা যায় কেন সময়ের আলোচিত লেখক পাঠকের হৃদয়ে এত দ্রুত জায়গা করে নিতে পেরেছেন। যার লেখায় আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে বাস্তবতা। প্রতিটি কথায় পাঠক খুঁজে পান নিজের না বলা কথা। যার লেখার প্রতিটি লাইন পাঠককে অনুভব করায় “এ তো আমারই মনের কথা।”

 

আড়ালে থেকেও আলোচনায়। বলছিলাম সময়ের আলোচিত লেখক আশরাফ আহমেদের কথা। যার পুরো নাম আশরাফ আহমেদ তাকদির। তিনি নিজেকে আড়ালে রাখতে পছন্দ করেন, তবে তার কলমের ছোঁয়ায় পাঠকের হৃদয় অবশ্যম্ভাবী ভাবে স্পর্শিত হয়। বর্তমান সময়ে, নিজেকে আড়ালে রেখে শুধুমাত্র কলমের মাধ্যমে পরিচিতি তৈরি করা লেখকদের মধ্যে আশরাফ আহমেদ অন্যতম একজন। তার অনুরাগীরা লেখককে ঘিরে অদ্ভুত উন্মাদনা অনুভব করেন, জানতে চান কে এই মানুষ? তবে লেখক নিজেকে এখনই প্রকাশ্যে আনতে চান না।

 

  • কেনো নিজেকে আড়ালে রাখেন এবং কখনো প্রকাশ্যে আসার ইচ্ছে আছে কি’ এমন প্রশ্নে লেখক জানান।

 

– বাংলাদেশে সাহিত্যের যে আবহাওয়া, তাতে লেখক নিজে খুব উদ্যমী হয়ে এগিয়ে না এলে তাকে অপরিচিত বা স্বল্প পরিচিতির অসুবিধায় ভুগতেই হয়। এই ধারণা ভাঙতে চাই আমি। আমি চাই নিজেকে আড়ালে রেখে, শুধুমাত্র নিজের কাজ দিয়ে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে। এই প্রত্যাশা নিয়েই আমার প্রতিটি লেখা। আমি চাই সবাই শুধু আমার লেখাকে জানুক। নিজেকে সবার সামনে প্রকাশ করতে এখনো অনেক পরিশ্রম বাকি। কারণ আমি আমার সর্বোচ্চটুকু পাঠকদের উপহার দিতে চাই।”

 

লেখকের কাছে জানতে চাই তাকে ঘিরে পাঠকমহলে থাকা নানানরকম প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়েই।

 

  • আপনার ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী? উত্তরে লেখক জানান।

 

–– আমি চাই আমার গল্প শুধু বইয়ের পাতায় আটকে না থাকুক। চাই, তা মঞ্চে, গানে, কিংবা সিনেমায় প্রাণ পাক। প্রতিটি লেখা আমার কাছে কেবল শব্দ নয়, বরং একেকটি জীবনের প্রতিচ্ছবি। সেই প্রতিচ্ছবি যখন পাঠক কিংবা শ্রোতার মনে আলো জ্বালাবে, তখনই আমি বিশ্বাস করবো আমার লেখার যাত্রা পূর্ণতা পেয়েছে।

 

  • আপনার লেখা অত্যান্ত হৃদয়স্পর্শী এতে সন্দেহ নেই। তবুও যদি জানতে চাই কেনো আপনার লিখা পাঠকমহলে এতো গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে কি মনে হয় আপনার?

 

— আমি বাস্তবতা নিয়ে লিখতে পছন্দ করি। জীবনের প্রতিটি ধাপে মানুষ বিভিন্নরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। আমি সেই পরিস্থিতি নিয়ে লিখতে পছন্দ করি। কখনো হতাশা, কখনো থেমে না থাকার গল্প, কখনো কখনো গভীর প্রেমের সংকেত তবে সেখানে বাস্তবতা কে বাঁচিয়ে রেখে লেখার চেষ্টা করি। আমার প্রতিটি পাঠক সেই লেখা গুলো নিজের সাথে মেলাতে পারে বলেই হয়তো আমার লেখা তারা পড়েন। গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু হয়েছে জানিনা, সেটা পাঠকরাই ঠিক করবেন। তবে আমি সবসময় এই চেষ্টাই করি যেনো প্রতিদিন অন্তত একজন হলেও নতুন পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারি।

 

  • হৃদয় ভেঙে যাওয়া লেখার জন্য কতটা প্রভাব ফেলে?

 

—দুঃখ মানুষকে শক্ত করে। কলমে সেই শক্তি স্থান পায়। ভালোবাসা কখনোই চিরতরে হারায় না; হয়ত মানুষটি আমাদের পাশে থাকে না, অথবা আমরা তাকে রাখতে পারি না। তবে সেই অনুভূতি ও স্মৃতি গুলো আমাদের সাথে থেকে যায়। যা আমাদের লেখার মধ্যে অনন্তকাল ধরে বাঁচে।

 

  • জীবনে এমন কি কোনো মানুষ আছে, যার জন্য আপনি এখনো আলাদা কোনো অনুভূতি রাখেন?

 

—হ্যাঁ, আছে। কিছু মানুষ এমনভাবে ছাপ রেখে যায় যে, তারা চলে যাওয়ার পরও স্মৃতি হয়ে থেকে যায়। আর কখনো দেখা হয়না, কখনো কাছাকাছি থাকার সুযোগ হয় না তবুও কোথাও না কোথাও তারা থেকে যায়। তাদের ছায়া আমার জীবনের ছোট ছোট অনুভূতিতে, নিজের লেখা বা সঙ্গীতের নিঃশব্দে উপস্থিত থাকে।

 

  • পাঠক প্রতিক্রিয়া কেমন অনুভব করেন?

 

—আমার প্রথম বই ‘শেষ অধ্যায়’ প্রকাশিত হওয়ার পর পাঠকদের যে প্রতিক্রিয়া আমি পেয়েছি, তা ভাষায় প্রকাশের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম বই হিসেবে একজন লেখকের জন্য এমন ভালোবাসা পাওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমার প্রতি পাঠকের এই অবিচল ভালোবাসাই আমার লেখার সবচেয়ে বড় সম্মাননা ও অনুপ্রেরণা।

 

  • যদি কখনো কাউকে ভালোবাসেন এবং নিজের কোন লিখা দিয়ে তার সৌন্দর্যের ব্যাখ্যা করার সুযোগ হয় কোন লিখাটা উৎসর্গ করবেন?

 

“তোমার চাহুনিতে মিশ্রিত পৃথিবীর নিষিদ্ধ কোনো মাদক, নয়তো এমন করে আমার মস্তিষ্ক শূন্য হয়ে যায় কেনো তোমার দিকে তাকাতেই? মনে হয় যুগের পর যুগ তাকিয়ে থাকি তোমার চোখের দিকে।

তুমি এমন করে তাকাও; আমার বুকে বইতে থাকা সমুদ্র মুহূর্তের মধ্যে শুকিয়ে যায়। হয়ে উঠে মরুভূমিতে ফুল বাগান। অনুভব হয় এই চোখ জোড়া আমার সমস্ত ক্লান্তির সমাপ্তি!”

 

  • আপনার প্রথম বই “শেষ অধ্যায়” এত ভালোবাসা পেয়েছে, পাঠকের জানার কৌতূহল নতুন বই কি আসছে শিগগিরই?

 

–– বই লেখা আমার কাছে কখনো পরিকল্পনা নয়, বরং এক ধরনের আত্মমুক্তি। যখন ভেতরের শব্দগুলো আর ধরে রাখা যায় না, তখনই তারা বই হয়ে জন্ম নেয়। নতুন বই আসবেই, তবে কবে আসবে তা আমি বলি না বলুক আমার কলম। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সেরা লেখা সবসময় নির্দিষ্ট সময়ে নয়, নিজের সময়ে জন্ম নেয়।

 

  • শেষ অধ্যায় বইয়ের কোন লিখাটি লেখকের চিন্তাধারা কিংবা ব্যক্তিত্ব কে বর্ণনা করে?

 

–– বইয়ের প্রথম লিখাটি।

 

 

প্রথম বই “শেষ অধ্যায়” পাঠকদের অগাধ ভালোবাসা পেয়েছেন আশরাফ আহমেদ। একেকটি লাইনে তিনি যেন পাঠকের নিজস্ব অনুভূতিই তুলে ধরেন। আর সেখানেই তিনি অন্যের মাঝে অনন্য, নিজেকে আড়ালে রেখে তিনি পাঠকের মনের কথাগুলো নিজের কলমের মাধ্যমে রূপ দেন। তার উত্তরগুলোতেও সেই গভীরতা, সেই নীরব সৌন্দর্য বারবার ধরা পড়ে। তিনি কথা বলেন কম, কিন্তু প্রতিটি বাক্য যেন খোলা আকাশের মতো বিস্তৃত হয় পাঠকের ভেতরে।

 

 

আশরাফ আহমেদের লেখার মধ্যেই রয়েছে তার সত্যিকারের পরিচয়, আর তাই হয়তো তিনি নিজেই বলেন “আমাকে জানার দরকার নেই, আমার লেখা আপনাদের জানুক। আপনারা আমার লেখাকে জানুন।”

 

প্রথম বইয়েই পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া এই লেখক নিঃসন্দেহে সমকালীন সাহিত্যে এক উজ্জ্বল নাম হয়ে উঠবেন। পাঠকের এই উন্মাদনা, এই ভালোবাসা হয়তো তার কলমকে আরও বহুদূর নিয়ে যাবে।