মানিকগঞ্জের দুটি পৃথক মামলায় কণ্ঠশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে মোট ৬ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দুইটি আদালতে এসব রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আইভি আক্তারের আদালতে হরিরামপুর থানায় দায়ের করা একটি ভাঙচুর ও মারামারির মামলায় রিমান্ড শুনানি হয়। মামলাটিতে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলেও বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় মমতাজের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
পরবর্তীতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুহম্মদ আব্দুন নূরের আদালতে ২০১৩ সালের একটি হত্যা মামলার শুনানি হয়। মামলাটিতে মমতাজ বেগমকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
২০১৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল এলাকায় হরতালের সমর্থনে একটি মিছিলে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হন। ওই ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৫ অক্টোবর মো. মজনু মোল্লা নামের একজন স্থানীয় ব্যক্তি সিঙ্গাইর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মমতাজ বেগমকে তিন নম্বর আসামি করা হয়।
এছাড়া, হরিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর আরেকটি হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের মামলা দায়ের করেন, যাতে মমতাজ বেগমকে আসামি করা হয়।
রিমান্ড শুনানির দিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে মমতাজকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করে এবং প্রিজনভ্যানে তোলার সময় মমতাজের দিকে ডিম নিক্ষেপ করা হয়। এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবী ও নেতা-কর্মীরা শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন এবং পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
আদালত পুলিশের ওসি আবুল খায়ের জানান, রিমান্ড শেষে মমতাজ বেগমকে পুনরায় কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ঢাকায় দায়ের করা কয়েকটি মামলায় চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন তিনি।