কোরবানির সময় অনেকেই বড় আকৃতির পশু পছন্দ করেন, তবে বড় মানেই ভালো নয়। ইনজেকশন বা হরমোন দিয়ে অনেক সময় পশু কৃত্রিমভাবে মোটা করে তোলা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই মাঝারি আকৃতির গরু কেনাই বেশি নিরাপদ।
সুস্থ ও উপযুক্ত পশু নির্বাচনের জন্য নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন:
✅ বয়স যাচাই করুন
-
গরু: কমপক্ষে ২ বছর বয়স হতে হবে।
-
২ বছর: ২টি স্থায়ী কর্তন দাঁত
-
৩ বছর: ৪টি
-
৪ বছর: ৬টি
-
৫ বছর: ৮টি পূর্ণ দাঁত
-
-
ছাগল ও ভেড়া: কমপক্ষে ১ বছর (যদি ৬ মাস বয়সী ভেড়া ১ বছরের মতো দেখতে হয়, তা কোরবানি করা যাবে)।
-
উট: কমপক্ষে ৫ বছর
✅ পশুর আচরণে সুস্থতার লক্ষণ
-
মুখের সামনে খাবার ধরলে খেতে চায় – এটি সুস্থতার লক্ষণ
-
নাক ভেজা ও সজীব থাকে
-
পিঠের কুঁজ টানটান ও মোটা হয়
-
চোখ উজ্জ্বল ও সচল
-
গায়ে চাপ দিলে অতিরিক্ত দেবে না (হরমোন দেওয়া পশুর ক্ষেত্রে চাপ দিলে দেবে গিয়ে ওঠে না)
✅ শরীরে কোনো সমস্যা আছে কিনা যাচাই করুন
-
কোনো ক্ষত, শিং ভাঙা, দাঁত ভাঙা, খুরে সমস্যা বা লেজে খুঁত আছে কিনা খেয়াল করুন
-
পশুটি ল্যাংড়া বা দুর্বল কি না লক্ষ্য করুন
-
গর্ভবতী গরু কোরবানি দেওয়া হারাম, তাই নিশ্চিত হোন গরুটি গর্ভবতী নয়
✅ দিনের আলোতে পশু কিনুন
-
রাতে পশুর রোগ লক্ষণ দেখা যায় না, ফলে অসুস্থ গরু কেনার আশঙ্কা থাকে
যেসব পশু না কেনাই ভালো
-
অস্বাভাবিক মোটা গরু – হতে পারে হরমোন বা ইনজেকশন প্রয়োগ
-
খুব ক্লান্ত বা ঝিমানো – সীমান্ত পার হয়ে আসা গরু ক্লান্ত ও আহত হতে পারে
-
ইনজেকশন বা স্টেরয়েড দিয়ে ফুলানো – এদের গায়ে চাপ দিলে দেবে যায়
সেরা বাছাইয়ের টিপস
-
দেশি গরু পছন্দ করুন
-
মাঝারি সাইজের গরু স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ
-
পশু সজীব, সচল ও স্বাভাবিক আচরণ করছে কিনা দেখুন
-
মুখ, চোখ, নাক, দাঁত, লেজ ও পা – সব জায়গায় নজর দিন
সতর্কতা ও সচেতনতা মেনে পশু নির্বাচন করলেই একটি নিরাপদ, সুস্থ ও গ্রহণযোগ্য কোরবানি নিশ্চিত করা সম্ভব।