জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় অবশেষে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন। দীর্ঘ চার মাসের অনুসন্ধান শেষে জামালপুর-১ কূপে গ্যাসের অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্স (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড)।
শনিবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গ্যাসে আগুন জ্বালিয়ে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ। রোববার (১ জুন) দুপুরে কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক মো. মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
-
গ্যাসের চাপ: ৭.২ মিলিয়ন পিএসআই (রোববার দুপুরে)
-
গ্যাস স্তরের গভীরতা: ১,৪৪১ মিটার এবং ১,৪৫ মিটার স্তরে, আরও কয়েকটি স্তরেও গ্যাসের অস্তিত্ব রয়েছে
-
কূপের গভীরতা: ২,৬০০ মিটার (মোট পরিকল্পিত ছিল ২,৮০০ মিটার)
-
প্রাথমিক ধারণা: প্রায় ৪০০ বিসিএফ (বিলিয়ন কিউবিক ফিট) গ্যাস মজুত রয়েছে
-
সম্ভাব্য উত্তোলন হার: প্রতিদিন ১০ এমএমসিএফ (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট) গ্যাস
আগামী ৭২ ঘণ্টা গ্যাসের পরিমাণ ও চাপ পর্যবেক্ষণ শেষে চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত হবে কূপটির বাণিজ্যিক সম্ভাবনা।
-
১৯৮০ সালেই মাদারগঞ্জের তারতাপাড়া এলাকায় গ্যাসের সম্ভাবনার ইঙ্গিত মেলে।
-
২০১৪-১৫ অর্থবছরে সিসমিক উপাত্ত সংগ্রহ এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ক্লোজ গ্রিড সার্ভে সম্পন্ন হয়।
-
সেসব তথ্য বিশ্লেষণ করে ২০২৫ সালের ২৪ জানুয়ারি শুরু হয় জামালপুর-১ কূপ খনন কার্যক্রম।
প্রকল্প পরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন,
“২,৬০০ মিটার গভীরে সফলভাবে খনন সম্পন্ন হয়েছে। গ্যাস পাওয়া গেছে এটা ইতিবাচক। এখন চলছে চূড়ান্ত পরিমাণ যাচাইয়ের কাজ।”
যদি প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী গ্যাস মজুত নিশ্চিত হয়, তবে এটি জামালপুরসহ দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলে জ্বালানি নির্ভরতায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।