ঢাকা , রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারোর জন্য কতদিন অপেক্ষা করা উচিত?

কারোর জন্য কতদিন অপেক্ষা করা উচিত—এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে তিনটি বিষয়:
(১) আপনি কার জন্য অপেক্ষা করছেন, (২) সম্পর্কটা কেমন, আর (৩) আপনি নিজেকে কতটা সম্মান দিচ্ছেন।

তবু নিচে কিছু গাইডলাইন দিচ্ছি—আশা করি আপনার ভাবনায় সহায়ক হবে:

১. যদি কেউ হঠাৎ দূরে সরে যায় বা কথা বলা বন্ধ করে দেয়

  • কয়েক দিন থেকে এক-দুই সপ্তাহ সময় দিন

  • অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত কারণে কিছু সময় একা থাকতে চায়।

এই সময়টা তাদের চিন্তার জন্য দিন, তবে আপনি চাইলে একবার নরমভাবে খোঁজ নিতে পারেন, যেমন:

“তুমি ঠিক আছো তো? আমি বুঝি তুমি সময় চাইছো। শুধু জানিয়ে রাখছি, আমি আছি।”

২. যদি কেউ দীর্ঘদিন যোগাযোগ না করে (৩+ সপ্তাহ বা তার বেশি)

  • তখন নিজেকে প্রশ্ন করুন:

    • সে কি ইচ্ছা করে দূরে আছে?

    • আপনি বারবার চেষ্টা করছেন, অথচ সে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না?

এই পরিস্থিতিতে হয়তো “চুপ করে চলে যাওয়া” (ghosting) ঘটছে—যেটা খুবই কষ্টদায়ক, কিন্তু বাস্তব।

৩. আপনি যদি কাউকে ভালোবাসেন বা খুবই কাছের কেউ হয়

  • কিছু বেশি সময় (এক মাস পর্যন্ত) অপেক্ষা করা যায়, কিন্তু:

    • আপনি যদি একতরফা চেষ্টা করছেন, তবে সেই চেষ্টা এক সময় আপনাকে কষ্ট দিতে শুরু করবে।

    • সম্পর্ক “দুইজনের দায়িত্ব”, শুধু আপনার একার নয়।

৪. নিজেকে প্রশ্ন করুন

  • এই অপেক্ষা কি আপনাকে ভেঙে দিচ্ছে?

  • আপনি কি আর নিজের দিকে মনোযোগ দিতে পারছেন না?

  • তারা কি স্পষ্ট করে না বলে শুধু ঝুলিয়ে রেখেছে?

যদি উত্তর হয় “হ্যাঁ”, তাহলে হয়তো অপেক্ষা থামিয়ে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে।

সম্মান, স্পষ্টতা, এবং যোগাযোগ—এই তিনটি জিনিস যদি না থাকে, তাহলে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করা উচিত নয়। নিজের শান্তি ও সম্মান আগে।

Tag :
জনপ্রিয়

কারোর জন্য কতদিন অপেক্ষা করা উচিত?

আপডেট সময়: ০৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

কারোর জন্য কতদিন অপেক্ষা করা উচিত—এই প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করে তিনটি বিষয়:
(১) আপনি কার জন্য অপেক্ষা করছেন, (২) সম্পর্কটা কেমন, আর (৩) আপনি নিজেকে কতটা সম্মান দিচ্ছেন।

তবু নিচে কিছু গাইডলাইন দিচ্ছি—আশা করি আপনার ভাবনায় সহায়ক হবে:

১. যদি কেউ হঠাৎ দূরে সরে যায় বা কথা বলা বন্ধ করে দেয়

  • কয়েক দিন থেকে এক-দুই সপ্তাহ সময় দিন

  • অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত কারণে কিছু সময় একা থাকতে চায়।

এই সময়টা তাদের চিন্তার জন্য দিন, তবে আপনি চাইলে একবার নরমভাবে খোঁজ নিতে পারেন, যেমন:

“তুমি ঠিক আছো তো? আমি বুঝি তুমি সময় চাইছো। শুধু জানিয়ে রাখছি, আমি আছি।”

২. যদি কেউ দীর্ঘদিন যোগাযোগ না করে (৩+ সপ্তাহ বা তার বেশি)

  • তখন নিজেকে প্রশ্ন করুন:

    • সে কি ইচ্ছা করে দূরে আছে?

    • আপনি বারবার চেষ্টা করছেন, অথচ সে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে না?

এই পরিস্থিতিতে হয়তো “চুপ করে চলে যাওয়া” (ghosting) ঘটছে—যেটা খুবই কষ্টদায়ক, কিন্তু বাস্তব।

৩. আপনি যদি কাউকে ভালোবাসেন বা খুবই কাছের কেউ হয়

  • কিছু বেশি সময় (এক মাস পর্যন্ত) অপেক্ষা করা যায়, কিন্তু:

    • আপনি যদি একতরফা চেষ্টা করছেন, তবে সেই চেষ্টা এক সময় আপনাকে কষ্ট দিতে শুরু করবে।

    • সম্পর্ক “দুইজনের দায়িত্ব”, শুধু আপনার একার নয়।

৪. নিজেকে প্রশ্ন করুন

  • এই অপেক্ষা কি আপনাকে ভেঙে দিচ্ছে?

  • আপনি কি আর নিজের দিকে মনোযোগ দিতে পারছেন না?

  • তারা কি স্পষ্ট করে না বলে শুধু ঝুলিয়ে রেখেছে?

যদি উত্তর হয় “হ্যাঁ”, তাহলে হয়তো অপেক্ষা থামিয়ে নিজেকে এগিয়ে নেওয়ার সময় এসেছে।

সম্মান, স্পষ্টতা, এবং যোগাযোগ—এই তিনটি জিনিস যদি না থাকে, তাহলে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করা উচিত নয়। নিজের শান্তি ও সম্মান আগে।