কোনও তৃতীয় ব্যক্তি কিংবা অন্য কোনো কারণে কখনোই গোবিন্দকে ছেড়ে যাবেন না তিনি। এর কয়েকমাস না যেতেই ফের সেই গুঞ্জনে ভারী বলিউড। এবারও জানা যাচ্ছে, বাস্তবে দুজনের বিচ্ছেদের কোনো সম্ভাবনা নেই। গোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী সুনীতা আহুজা গণেশ চতুর্থীতে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে যে চর্চা চলছে, তা পুরোপুরি গুজব।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বিচ্ছেদের প্রসঙ্গে স্পষ্ট জবাব দেন সুনীতা। এমনকী নিজেকে গোবিন্দর ‘লেডি লাক’ বলেও অভিহিত করেন তিনি। সুনীতা বলেছেন যে গোবিন্দর ছবি তাঁর সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই চলতে শুরু করেছিল।
ইট ট্রাভেল রিপিট-এর সঙ্গে কথোপকথনে সুনীতা জানান, যখন কোনও নারী যখন আপনার বাড়িতে আসেন, তখন তিনি তাঁর সঙ্গে মা লক্ষ্মীকে নিয়ে আসেন।
সুনীতা নিজেকে গোবিন্দর ভাগ্য বলে মনে করেন। নিজেকে গোবিন্দর গুডলাক মনে করে তিনি এই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার শাশুড়ি (গোবিন্দর মা) মনে করতেন যে, আমি আসায় গোবিন্দর ভাগ্য খুলবে এবং আমার মনে হয় তিনি একেবারেই ঠিক ছিলেন। গোবিন্দ বি.কম ফাইনাল ইয়ারে পড়তেন যখন আমাদের কথা হয়, বাগদান হয় এবং তারপর গোবিন্দ সুপারস্টার হন।’
সুনীতা আরো বলেন, ‘গোবিন্দ তাঁর সংগ্রামের দিনগুলিতে আমার বোনের বাড়িতে থাকতেন। তিনি প্রায় তিন বছর সেখানে ছিলেন এবং সেই সময় আমি স্কুলে পড়তাম।
আমার ব্রাদার-ইন-ল একবার আমাকে বলেছিলেন যে একটা ছেলে আসছে। তোমাকে তাকে ইমপ্রেস করার চেষ্টা করতে হবে। আমি শুনেছিলাম যে গোবিন্দ মেয়েদের খুব একটা পছন্দ করেন না, তাই আমি সেই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেছিলাম। এবং আমি তাকে ইমপ্রেস করতে সক্ষম হয়েছিলাম।’
সুনীতা আরও জানান, এরপর গোবিন্দ ধীরে ধীরে তাঁকে পছন্দ করতে শুরু করেন। চ্যালেঞ্জ হিসেবে শুরু হওয়া সম্পর্ক ধীরে ধীরে প্রেমে পরিণত হয়। অবশেষে তাঁদের বিয়ে হয় এবং আজ তিনি গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন যে তিনি খুব খুশি। অভিনেত্রী এটাও জানিয়েছেন যে তিনি গোবিন্দর পাশে ভালো-মন্দ সমস্ত সময়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।