ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই : নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন, আলোচিত দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম বর্তমানে দলের সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখছেন না। শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর বাংলামোটরে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ বক্তব্য দেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের সময় সরকারে অংশ নেওয়ার পটভূমিতে এ দুজন ছিলেন সরকারের উপদেষ্টা। সে সময় আমিও সেখানে ছিলাম। তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন, এবং যদি তারা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান বা নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তাহলে সরকারের ভেতরে থেকে তা করা সম্ভব নয়।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এনসিপির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, সেটিকে আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, “নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে। তার সঙ্গে বিচার সংস্কার ও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী রোডম্যাপ একত্রে ঘোষণার প্রয়োজন রয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত জাতীয় নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে সামনে রেখে নিতে হবে।”

নাহিদ ইসলাম মনে করেন, এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে এবং সংলাপের মাধ্যমে জাতিকে একটি স্থিতিশীল পথে এগিয়ে নেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ৬২৬ জনের একটি তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই তালিকা যদি আগেই প্রকাশ হতো, তাহলে জনমনে এত প্রশ্ন কিংবা শঙ্কা তৈরি হতো না। সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজনীতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অতীতে যেমন ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে দেখা গিয়েছিল, তা রাষ্ট্রের জন্য সুখকর নয়। অনেক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুমসহ মানবতাবিরোধী অভিযোগ রয়েছে, অথচ অনেকে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি বা তাদের অবস্থান স্পষ্ট নয়।”

তিনি এ কথাও বলেন যে, সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা হারিয়েছে। তারা যদি আস্থা ফেরাতে না পারে, তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে সামনে আনা জরুরি।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

দুই ছাত্র উপদেষ্টার সঙ্গে এনসিপির কোনো সম্পর্ক নেই : নাহিদ

আপডেট সময়: ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম পরিষ্কার ভাষায় জানিয়েছেন, আলোচিত দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম বর্তমানে দলের সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখছেন না। শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর বাংলামোটরে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ বক্তব্য দেন তিনি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের সময় সরকারে অংশ নেওয়ার পটভূমিতে এ দুজন ছিলেন সরকারের উপদেষ্টা। সে সময় আমিও সেখানে ছিলাম। তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন, এবং যদি তারা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান বা নির্বাচনে অংশ নিতে চান, তাহলে সরকারের ভেতরে থেকে তা করা সম্ভব নয়।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এনসিপির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, সেটিকে আমরা তীব্রভাবে নিন্দা জানাই।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন এনসিপির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, “নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে। তার সঙ্গে বিচার সংস্কার ও একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী রোডম্যাপ একত্রে ঘোষণার প্রয়োজন রয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত জাতীয় নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে সামনে রেখে নিতে হবে।”

নাহিদ ইসলাম মনে করেন, এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে এবং সংলাপের মাধ্যমে জাতিকে একটি স্থিতিশীল পথে এগিয়ে নেওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ৬২৬ জনের একটি তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই তালিকা যদি আগেই প্রকাশ হতো, তাহলে জনমনে এত প্রশ্ন কিংবা শঙ্কা তৈরি হতো না। সেনাবাহিনীর সঙ্গে রাজনীতির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অতীতে যেমন ওয়ান-ইলেভেনের সময়ে দেখা গিয়েছিল, তা রাষ্ট্রের জন্য সুখকর নয়। অনেক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুমসহ মানবতাবিরোধী অভিযোগ রয়েছে, অথচ অনেকে এখনো গ্রেপ্তার হয়নি বা তাদের অবস্থান স্পষ্ট নয়।”

তিনি এ কথাও বলেন যে, সেনাবাহিনীসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, “নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা হারিয়েছে। তারা যদি আস্থা ফেরাতে না পারে, তাহলে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া উচিত। গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে সামনে আনা জরুরি।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।