ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজতর করার পদক্ষেপ নেবে ভারত

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে অপপ্রচারের জন্য ভারত সরকার দায়ী নয়। বরং তারা এগুলো প্রশ্রয় দিচ্ছে না। এসব অপপ্রচার গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিচালিত হচ্ছে।

 

ভারতীয় ভিসা সীমিত করে দেওয়ার ফলে সৃষ্ট অসুবিধার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। ‘ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা ভিসা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।’

 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা উল্লেখ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

 

এ দিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ককে ‘অত্যন্ত দৃঢ়’ ও ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

 

‘বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে এবং জুলাই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভারতে অপপ্রচার চলছে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত বলেছে, দেশটির সরকার এসবের জন্য কোনোভাবে দায়ী নয় এবং তারা এগুলোকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না,’ বলেন তিনি।

 

রিজওয়ানা বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতের দিক থেকে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার লিখিত ও মৌখিক জবাব বাংলাদেশ আগেই দিয়েছে। তিনি জানান, ঘটনার অধিকাংশই ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক, সেগুলোকে সাম্প্রদায়িক দেখানোর সুযোগ খুবই কম।

 

‘আমাদের স্পষ্ট অবস্থান হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের ঘটনায় জড়িত নয় এবং এসব বরদাস্ত করছে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

এ ইস্যুর প্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে যে ‘মেঘ’ জমেছে, তা দূর করতে হবে। উভয়পক্ষ এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।

 

ভারতীয় ভিসা সীমিত করে দেওয়ার ফলে সৃষ্ট অসুবিধার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। ‘ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা ভিসা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।’

 

 

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সহজতর করার পদক্ষেপ নেবে ভারত

আপডেট সময়: ০১:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে ভারতের একাধিক গণমাধ্যমে অপপ্রচারের জন্য ভারত সরকার দায়ী নয়। বরং তারা এগুলো প্রশ্রয় দিচ্ছে না। এসব অপপ্রচার গণমাধ্যম ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পরিচালিত হচ্ছে।

 

ভারতীয় ভিসা সীমিত করে দেওয়ার ফলে সৃষ্ট অসুবিধার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। ‘ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা ভিসা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।’

 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা উল্লেখ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

 

এ দিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ককে ‘অত্যন্ত দৃঢ়’ ও ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

 

‘বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে এবং জুলাই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ভারতে অপপ্রচার চলছে বলে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভারত বলেছে, দেশটির সরকার এসবের জন্য কোনোভাবে দায়ী নয় এবং তারা এগুলোকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না,’ বলেন তিনি।

 

রিজওয়ানা বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতের দিক থেকে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার লিখিত ও মৌখিক জবাব বাংলাদেশ আগেই দিয়েছে। তিনি জানান, ঘটনার অধিকাংশই ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক, সেগুলোকে সাম্প্রদায়িক দেখানোর সুযোগ খুবই কম।

 

‘আমাদের স্পষ্ট অবস্থান হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের ঘটনায় জড়িত নয় এবং এসব বরদাস্ত করছে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

এ ইস্যুর প্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে যে ‘মেঘ’ জমেছে, তা দূর করতে হবে। উভয়পক্ষ এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।

 

ভারতীয় ভিসা সীমিত করে দেওয়ার ফলে সৃষ্ট অসুবিধার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। ‘ভারত প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা ভিসা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে।’