ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য কি বাঁধন ?

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রাজপথ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সবখানেই সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছাত্রদের পক্ষে বারবার আওয়াজ তুলেছেন তিনি। তবে সচেতন এ অবস্থান তাকে শুধুমাত্র আলোচনাতেই রাখেনি, বরং সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে ঘিরে তৈরি করেছে নানা সমালোচনা ও কটাক্ষের পরিবেশ।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন বাঁধন। তিনি জানান, কীভাবে তাকে একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, কিভাবে ভারতের ভিসা পেতে তাকে লড়াই করতে হয়েছে, আর কীভাবে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন প্রভাবিত হয়েছে।

বাঁধন লেখেন, “২০২১ সালে বলিউডের ‘খুফিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করি, যেখানে আমি ছিলাম একজন ‘র’ এজেন্ট। সহ-অভিনেত্রী ছিলেন টাবু। কিন্তু সিনেমার প্রিমিয়ারে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাইনি। পাঁচবার ভারতীয় হাইকমিশন আমার ভিসা প্রত্যাখ্যান করে।”

তিনি দাবি করেন, ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে তার একটি ছবি দেখেই ভারতের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয় এবং সেটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়। পরে দেশের একজন উচ্চপদস্থ বন্ধুর সহায়তায় মাত্র এক মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পান তিনি।

“শোনা যায়, সিনেমার একজন অভিনেতা এই ভিসা সমস্যার পেছনে দায়ী,”—জানান বাঁধন।

জুলাই মাসের অভ্যুত্থান ঘিরে বাঁধনকে ঘিরে ওঠে আরও বিতর্ক। “আমাকে বলা হয় আমি সিআইএ’র এজেন্ট। কেউ বলে ইউএসএইড থেকে টাকা নিয়েছি। এরপর আমার প্রোফাইলে এক জামায়াত নেতার ছবি শেয়ার করায় বলা হলো আমি জামায়াত কর্মী। কেউ বলল আমি মোসাদ সদস্য। আর গতকাল বলা হলো আমি আবারও র-এর এজেন্ট।”

বাঁধনের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন হলেও সামাজিকভাবে এসব তাকে বিব্রত এবং মানসিকভাবে আহত করেছে।

সবচেয়ে হতাশাজনক অভিজ্ঞতা হিসেবে বাঁধন উল্লেখ করেন, তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কথা, যিনি বর্তমানে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। “তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন—টাকা খাইছো? এটা শুনে আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি।”

বাঁধনের সংক্ষেপে মন্তব্য—“আমরা এমন একটি সমাজে বাস করছি, যেখানে কেউ দেশকে ভালোবাসে না, এবং ধরে নেয় অন্য কেউও দেশকে ভালোবাসতে পারে না।”

একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য কি বাঁধন ?

আপডেট সময়: ০৩:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রাজপথ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সবখানেই সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ছাত্রদের পক্ষে বারবার আওয়াজ তুলেছেন তিনি। তবে সচেতন এ অবস্থান তাকে শুধুমাত্র আলোচনাতেই রাখেনি, বরং সামাজিক মাধ্যমে তাঁকে ঘিরে তৈরি করেছে নানা সমালোচনা ও কটাক্ষের পরিবেশ।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন বাঁধন। তিনি জানান, কীভাবে তাকে একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে প্রচার করা হয়েছে, কিভাবে ভারতের ভিসা পেতে তাকে লড়াই করতে হয়েছে, আর কীভাবে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তার ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন প্রভাবিত হয়েছে।

বাঁধন লেখেন, “২০২১ সালে বলিউডের ‘খুফিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করি, যেখানে আমি ছিলাম একজন ‘র’ এজেন্ট। সহ-অভিনেত্রী ছিলেন টাবু। কিন্তু সিনেমার প্রিমিয়ারে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাইনি। পাঁচবার ভারতীয় হাইকমিশন আমার ভিসা প্রত্যাখ্যান করে।”

তিনি দাবি করেন, ডাকসু’র সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে তার একটি ছবি দেখেই ভারতের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয় এবং সেটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়। পরে দেশের একজন উচ্চপদস্থ বন্ধুর সহায়তায় মাত্র এক মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পান তিনি।

“শোনা যায়, সিনেমার একজন অভিনেতা এই ভিসা সমস্যার পেছনে দায়ী,”—জানান বাঁধন।

জুলাই মাসের অভ্যুত্থান ঘিরে বাঁধনকে ঘিরে ওঠে আরও বিতর্ক। “আমাকে বলা হয় আমি সিআইএ’র এজেন্ট। কেউ বলে ইউএসএইড থেকে টাকা নিয়েছি। এরপর আমার প্রোফাইলে এক জামায়াত নেতার ছবি শেয়ার করায় বলা হলো আমি জামায়াত কর্মী। কেউ বলল আমি মোসাদ সদস্য। আর গতকাল বলা হলো আমি আবারও র-এর এজেন্ট।”

বাঁধনের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন হলেও সামাজিকভাবে এসব তাকে বিব্রত এবং মানসিকভাবে আহত করেছে।

সবচেয়ে হতাশাজনক অভিজ্ঞতা হিসেবে বাঁধন উল্লেখ করেন, তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর কথা, যিনি বর্তমানে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। “তিনি আমাকে প্রশ্ন করলেন—টাকা খাইছো? এটা শুনে আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি।”

বাঁধনের সংক্ষেপে মন্তব্য—“আমরা এমন একটি সমাজে বাস করছি, যেখানে কেউ দেশকে ভালোবাসে না, এবং ধরে নেয় অন্য কেউও দেশকে ভালোবাসতে পারে না।”