ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমাদের কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে আমরা তাঁদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই : জামায়াতের আমির

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “দল হিসেবে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে এমন দাবি করি না। আমাদের কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে আমরা তাঁদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই।” রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় উপলক্ষে।

শফিকুর রহমান বলেন, “এই রায়ে প্রমাণ হয়েছে—সত্যকে চেপে রাখা যায় না। সত্য একসময় আলো হয়ে ফিরে আসে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কথা দিচ্ছি, আল্লাহর ইচ্ছায় ও জনগণের সমর্থনে দেশের সেবা করার সুযোগ পেলে প্রতিশোধের রাজনীতি ও বৈষম্যের রাজনীতি বন্ধ করব। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করব।”

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমির দাবি করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দলটি ‘ভয়ংকর জুলুমের শিকার’ হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজানো আদালতের মাধ্যমে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে।”

এ টি এম আজহারের খালাসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই রায় একটি সুবিচার। মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে অসংখ্য জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তাঁর বইয়ে লিখেছেন, কীভাবে বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে রাজনীতিক নেতাদের খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, এইসব মামলার পেছনে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন অনুসরণ করা হয়নি। বরং যাঁদের ইশারায় আদালত পরিচালিত হতো, তাঁদের ইচ্ছাই মুখ্য ছিল।

শফিকুর রহমান বলেন, “ব্রিটেনের উচ্চ আদালত এই বিচারগুলোর বিষয়ে বলেছেন, এটি ছিল ‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’। আমাদের দেশের আদালত বলেছেন, ‘মিসকারেজ অব দ্য জাস্টিস’। এটি নেতৃত্ব গণহত্যা ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করা। তবে আমরা প্রতিশোধ নেইনি, আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি।”

তিনি সবশেষে বলেন, “আমাদের আচরণ বা কোনো কর্মকাণ্ডে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমরা বিনীতভাবে তাঁদের কাছে ক্ষমা চাই।”

আমাদের কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে আমরা তাঁদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই : জামায়াতের আমির

আপডেট সময়: ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “দল হিসেবে আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে এমন দাবি করি না। আমাদের কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে আমরা তাঁদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাই।” রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় উপলক্ষে।

শফিকুর রহমান বলেন, “এই রায়ে প্রমাণ হয়েছে—সত্যকে চেপে রাখা যায় না। সত্য একসময় আলো হয়ে ফিরে আসে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কথা দিচ্ছি, আল্লাহর ইচ্ছায় ও জনগণের সমর্থনে দেশের সেবা করার সুযোগ পেলে প্রতিশোধের রাজনীতি ও বৈষম্যের রাজনীতি বন্ধ করব। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করতে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করব।”

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমির দাবি করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দলটি ‘ভয়ংকর জুলুমের শিকার’ হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে মিথ্যা মামলায় সাজানো আদালতের মাধ্যমে জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে।”

এ টি এম আজহারের খালাসের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই রায় একটি সুবিচার। মামলাগুলো পরিচালনা করতে গিয়ে অসংখ্য জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তাঁর বইয়ে লিখেছেন, কীভাবে বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে রাজনীতিক নেতাদের খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, এইসব মামলার পেছনে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় আইন অনুসরণ করা হয়নি। বরং যাঁদের ইশারায় আদালত পরিচালিত হতো, তাঁদের ইচ্ছাই মুখ্য ছিল।

শফিকুর রহমান বলেন, “ব্রিটেনের উচ্চ আদালত এই বিচারগুলোর বিষয়ে বলেছেন, এটি ছিল ‘জেনোসাইড অব দ্য জাস্টিস’। আমাদের দেশের আদালত বলেছেন, ‘মিসকারেজ অব দ্য জাস্টিস’। এটি নেতৃত্ব গণহত্যা ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল জামায়াতকে নেতৃত্বশূন্য করা। তবে আমরা প্রতিশোধ নেইনি, আমরা ন্যায়বিচার চেয়েছি।”

তিনি সবশেষে বলেন, “আমাদের আচরণ বা কোনো কর্মকাণ্ডে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আমরা বিনীতভাবে তাঁদের কাছে ক্ষমা চাই।”