ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে সব দ্বিধা কেটে যাবে

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে সব দ্বিধা কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলেই সব দ্বিধা কেটে যাবে। দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া জরুরি। কাদা ছোড়াছুড়ির একটা সীমা থাকা উচিত।”

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “তারা একটি ম্যাজিকাল দেশ তৈরি করতে চায়, কিন্তু সেটা যেন জনগণের মধ্য থেকে আসে— এটাই কাম্য। অথচ সরকারের মধ্যে সেই ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।”

তিনি উল্লেখ করেন, “৭ আগস্টের সমাবেশে আমরা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলাম। তখন আমাদের সমালোচনা করে বলা হয়েছিল, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা প্রমাণ করছে, আমাদের সেই দাবি যথার্থ ছিল।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জনগণের দেশ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব— আমি আশাবাদী।”

তার মতে, রাজনীতিকদের মধ্যে এখন বোঝাপড়ার সময়। এতে জনগণই উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, “সব সমস্যা সত্ত্বেও ১২টি বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। বাকি বিষয়গুলো নিয়েও আমরা আশাবাদী। মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে লন্ডন বৈঠকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে সব দ্বিধা দূর হবে।”

মির্জা ফখরুল সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না থাকলে তিক্ততা বাড়বে। তাই সবাইকে সংযত হয়ে কথা বলতে হবে।”

আলোচনা সভায় ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনও বদলায়নি।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন সরকারের উদ্দেশে বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেওয়ার সুযোগ আছে। শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতা কুক্ষিগত করে পালানোর পথ তৈরি করা উচিত নয়।”

অনুষ্ঠানে দুই শহিদ পরিবার সদস্য এবং পাঁচজন সাংবাদিককে সম্মাননা দেওয়া হয়।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে সব দ্বিধা কেটে যাবে

আপডেট সময়: ০৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে সব দ্বিধা কেটে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণে’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলেই সব দ্বিধা কেটে যাবে। দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া জরুরি। কাদা ছোড়াছুড়ির একটা সীমা থাকা উচিত।”

সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “তারা একটি ম্যাজিকাল দেশ তৈরি করতে চায়, কিন্তু সেটা যেন জনগণের মধ্য থেকে আসে— এটাই কাম্য। অথচ সরকারের মধ্যে সেই ইচ্ছার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।”

তিনি উল্লেখ করেন, “৭ আগস্টের সমাবেশে আমরা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলাম। তখন আমাদের সমালোচনা করে বলা হয়েছিল, আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতা প্রমাণ করছে, আমাদের সেই দাবি যথার্থ ছিল।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জনগণের দেশ, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব— আমি আশাবাদী।”

তার মতে, রাজনীতিকদের মধ্যে এখন বোঝাপড়ার সময়। এতে জনগণই উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, “সব সমস্যা সত্ত্বেও ১২টি বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্য হয়েছে। বাকি বিষয়গুলো নিয়েও আমরা আশাবাদী। মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে লন্ডন বৈঠকের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন হলে সব দ্বিধা দূর হবে।”

মির্জা ফখরুল সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা না থাকলে তিক্ততা বাড়বে। তাই সবাইকে সংযত হয়ে কথা বলতে হবে।”

আলোচনা সভায় ‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনও বদলায়নি।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন সরকারের উদ্দেশে বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দিয়ে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেওয়ার সুযোগ আছে। শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতা কুক্ষিগত করে পালানোর পথ তৈরি করা উচিত নয়।”

অনুষ্ঠানে দুই শহিদ পরিবার সদস্য এবং পাঁচজন সাংবাদিককে সম্মাননা দেওয়া হয়।