ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসনাত আব্দুল্লাহর জন্য উপহার পাঠালেন রুমিন ফারহানা।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বাকযুদ্ধের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর মধ্যে সম্পর্কের শীতলতা কেটে আসছে বলে আভাস মিলেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছতরপুর স্কুল মাঠে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, রুমিন ফারহানা তার খোঁজখবর নিতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন এবং উপহারও পাঠিয়েছেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “রুমিন ফারহানার সঙ্গে আমাদের কিছু মনোমালিন্য ছিল। তবে আমরা তার এলাকায় আসছি খবর পেয়ে তিনি লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিয়েছেন এবং উপহারও পাঠিয়েছেন। রাজনীতিতে এটি একটি ইতিবাচক বার্তা, যা অবশ্যই স্বাগত জানানো উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ২০২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো ধরনের সহিংসতা দেখতে চাই না। ভিন্নমত গণতন্ত্রের শক্তি, আর সহিংসতা গণতন্ত্রের শত্রু। কেউ আক্রোশ প্রকাশ করলে আমরা তার জবাব দেব গণতান্ত্রিকভাবে, আর কেউ ইতিবাচক বার্তা দিলে তা অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।”

রুমিন ফারহানার ব্যক্তিগত সহকারী জাকির হোসেন শুভ উপহার পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দলীয় কর্মীরা এনসিপি নেতাদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তাদের জন্য ছানামুখী পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রুমিন ফারহানার পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে অবস্থিত।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর বিজয়নগরের আসন পুনর্বিন্যাসকে কেন্দ্র করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপি ও এনসিপির নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, শুনানির সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। অন্যদিকে এনসিপি নেতা আতাউল্লাহ অভিযোগ করেন, রুমিন ফারহানা ও তার সমর্থকদের হাতে তিনি আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

পরবর্তীতে পারস্পরিক কটূক্তি চলতে থাকে। হাসনাত আব্দুল্লাহ রুমিন ফারহানাকে বিএনপির ‘আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক’ আখ্যা দেন। এর জবাবে রুমিন ফারহানা হাসনাতের কয়েকটি পুরোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে লেখেন ‘এই সেই ফকিন্নির বাচ্চাটা না’।

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও অনলাইনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবে পরে রুমিন ফারহানা স্বীকার করেন, তার ব্যবহৃত শব্দচয়নে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তিনি দুঃখিত।

সাম্প্রতিক এই উপহার পাঠানো ও খোঁজ নেওয়াকে রাজনৈতিক মহল দুই পক্ষের সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন।

Tag :

হাসনাত আব্দুল্লাহর জন্য উপহার পাঠালেন রুমিন ফারহানা।

আপডেট সময়: ০৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বাকযুদ্ধের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর মধ্যে সম্পর্কের শীতলতা কেটে আসছে বলে আভাস মিলেছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ছতরপুর স্কুল মাঠে শনিবার (৩০ আগস্ট) রাতে আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, রুমিন ফারহানা তার খোঁজখবর নিতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন এবং উপহারও পাঠিয়েছেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “রুমিন ফারহানার সঙ্গে আমাদের কিছু মনোমালিন্য ছিল। তবে আমরা তার এলাকায় আসছি খবর পেয়ে তিনি লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিয়েছেন এবং উপহারও পাঠিয়েছেন। রাজনীতিতে এটি একটি ইতিবাচক বার্তা, যা অবশ্যই স্বাগত জানানো উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ২০২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো ধরনের সহিংসতা দেখতে চাই না। ভিন্নমত গণতন্ত্রের শক্তি, আর সহিংসতা গণতন্ত্রের শত্রু। কেউ আক্রোশ প্রকাশ করলে আমরা তার জবাব দেব গণতান্ত্রিকভাবে, আর কেউ ইতিবাচক বার্তা দিলে তা অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।”

রুমিন ফারহানার ব্যক্তিগত সহকারী জাকির হোসেন শুভ উপহার পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দলীয় কর্মীরা এনসিপি নেতাদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং তাদের জন্য ছানামুখী পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, রুমিন ফারহানার পৈতৃক বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে অবস্থিত।

এর আগে গত ২৪ আগস্ট রাজধানীর বিজয়নগরের আসন পুনর্বিন্যাসকে কেন্দ্র করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপি ও এনসিপির নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, শুনানির সময় তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। অন্যদিকে এনসিপি নেতা আতাউল্লাহ অভিযোগ করেন, রুমিন ফারহানা ও তার সমর্থকদের হাতে তিনি আক্রমণের শিকার হয়েছেন।

পরবর্তীতে পারস্পরিক কটূক্তি চলতে থাকে। হাসনাত আব্দুল্লাহ রুমিন ফারহানাকে বিএনপির ‘আওয়ামী বিষয়ক সম্পাদক’ আখ্যা দেন। এর জবাবে রুমিন ফারহানা হাসনাতের কয়েকটি পুরোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করে লেখেন ‘এই সেই ফকিন্নির বাচ্চাটা না’।

বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও অনলাইনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। তবে পরে রুমিন ফারহানা স্বীকার করেন, তার ব্যবহৃত শব্দচয়নে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তিনি দুঃখিত।

সাম্প্রতিক এই উপহার পাঠানো ও খোঁজ নেওয়াকে রাজনৈতিক মহল দুই পক্ষের সম্পর্ক উন্নয়নের ইতিবাচক ইঙ্গিত হিসেবেই দেখছেন।