মিরপুরের পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ডিএমপির পল্লবী থানা পুলিশ পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন:
- পল্লবী থানার যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন (৩৫),
- পল্লবী থানার ৬ নাম্বার ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সাজু (৩৪),
- পল্লবী থানার ৫ নাম্বার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকত ইসলাম (১৯),
- আওয়ামী লীগ কর্মী মো. বাচ্চু বেপারী (৬০), এবং
- আওয়ামী লীগ কর্মী রাজু (৫২)।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পল্লবী থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ আবুল তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাস্তা পারাপারের সময় আকরাম খান রাব্বী তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আকরামের বাবা ফারুক খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।পল্লবী থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ আবুল তালেব স্কুলের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাস্তা পারাপারের সময় আকরাম খান রাব্বী তাদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আকরামের বাবা ফারুক খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
তদন্তকালে সিসিটিভি ফুটেজ, গোয়েন্দা তথ্য এবং প্রযুক্তির সহায়তায় গত শুক্রবার রাতে মিরপুর-১১ এলাকা থেকে আকরাম খান রাব্বী হত্যার ঘটনায় জড়িত মো. মামুন ও মো. সাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়া, ৪ আগস্ট মিরপুর-১০ পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে আন্দোলন চলাকালে দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় ডান চোখে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন আবিদ, যাকে পরবর্তীতে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর অভিযোগে গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় একটি মামলা করা হয়।
তদন্তের পর, সিসিটিভি ফুটেজ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় গত শুক্রবার পল্লবীর আদর্শ নগর এলাকা থেকে সৈকত, বাচ্চু ও রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।