ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, পালিয়ে গেলেন তাহেরি

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়ায় ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর উস্কানিতেই পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে আখাউড়া থানায় পুলিশবাদী মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট তিনজনকে।
 
 
গ্রেফতাররা হলো- উপজেলার নিলাখাদ গ্রামের সোনা মওয়ার ছেলে হানিফ মিয়া (৬০), মোগড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম সামদানী শিবলী (৫০) ও একই এলাকার জহির মিয়ার ছেলে রিমন (২১)। ভিডিও চিত্র ও তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে আজ (শনিবার) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
 
 
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ বলছে, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনের জমিতে ওয়াজ মাহফিল চলছিলো। বিনা অনুমতিতে ও বিনা নোটিশে চলতে থাকা এ মাহফিলে বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী স্টেজে বসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পায়তারা করছিলো। খবর পেয়ে মোগড়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত বিট অফিসার এস.আই আবির আহমেদ ও এসআই মো. বাবুল মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বেলা পৌনে চারটার দিকে সেখানে যায়। পুলিশ দেখা মাত্র গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী পুলিশকে উদ্দেশ্য করে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তিনি বলতে থাকেন যে, ‘আমার সকল মাহফিলে পুলিশ বাঁধা দেয়, এই যে এখন আবার পুলিশ এসেছে, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, আমরা সুন্নি জনতা কাউকে আর ছাড় দেব না।’ এরপরই লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়। এতে এস আই বাবুল আহত হলে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
 
 
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ছমিউদ্দিন জানান, পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নামে পুলিশবাদী একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।

গ্রেফতার করতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, পালিয়ে গেলেন তাহেরি

আপডেট সময়: ০২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়ায় ইসলামি বক্তা গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরীর উস্কানিতেই পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে আখাউড়া থানায় পুলিশবাদী মামলা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট তিনজনকে।
 
 
গ্রেফতাররা হলো- উপজেলার নিলাখাদ গ্রামের সোনা মওয়ার ছেলে হানিফ মিয়া (৬০), মোগড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম সামদানী শিবলী (৫০) ও একই এলাকার জহির মিয়ার ছেলে রিমন (২১)। ভিডিও চিত্র ও তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করে আজ (শনিবার) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
 
 
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ বলছে, শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নিলাখাদ গ্রামের ধনু মিয়ার বাড়ির সামনের জমিতে ওয়াজ মাহফিল চলছিলো। বিনা অনুমতিতে ও বিনা নোটিশে চলতে থাকা এ মাহফিলে বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী স্টেজে বসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পায়তারা করছিলো। খবর পেয়ে মোগড়া ইউনিয়নের দায়িত্বরত বিট অফিসার এস.আই আবির আহমেদ ও এসআই মো. বাবুল মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বেলা পৌনে চারটার দিকে সেখানে যায়। পুলিশ দেখা মাত্র গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী পুলিশকে উদ্দেশ্য করে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তিনি বলতে থাকেন যে, ‘আমার সকল মাহফিলে পুলিশ বাঁধা দেয়, এই যে এখন আবার পুলিশ এসেছে, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, আমরা সুন্নি জনতা কাউকে আর ছাড় দেব না।’ এরপরই লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করা হয়। এতে এস আই বাবুল আহত হলে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
 
 
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ছমিউদ্দিন জানান, পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নামে পুলিশবাদী একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।