ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বদল হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু রেলসেতু’র নাম 

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’র নাম পরিবর্তন করা হবে। ইতোমধ্যে ওই নাম বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সচিব জানান, নতুন নাম চূড়ান্ত না হলেও বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি অনুযায়ী, বিভিন্ন স্থাপনার নাম স্থানীয় এলাকার নামানুসারে রাখার প্রবণতা রয়েছে। এই নিয়ম অনুসরণ করে যমুনা নদীর ওপর নতুন নির্মিত রেল সেতুটির নামও বদলানো হতে পারে।

সচিব এই কথা বলেন যখন তিনি শুক্রবার সকালে সেতুর পশ্চিমপাড় এলাকা পরিদর্শন করেন। উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেয়, যার ফলে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ চালু হলে রেল চলাচল দ্রুততর হবে, যা দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান করবে। ২০০৮ সালে পূর্ববর্তী বঙ্গবন্ধু সেতুর ফাটল দেখা দেয়ার পর, সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেনের গতির সীমাবদ্ধতা ছিল ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার, যার কারণে শিডিউল বিপর্যয় এবং যাত্রী ভোগান্তি বেড়ে যায়। এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার যমুনা নদীর ওপর নতুন একটি রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়, যার প্রকল্প ব্যয় ছিল প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং সেতুর নাম দেওয়া হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’। এই সেতু নির্মাণে ৭২% অর্থ সহায়তা দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা), এবং জাপানের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিনটি প্যাকেজে সেতুর নির্মাণ কাজ করছে।

নতুন সেতু চালু হলে, ডবল লাইনে দ্রুত গতিতে মালবাহী ট্রেনসহ ৬৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে, যা রেলপথে আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি করবে এবং সময়ের অপচয় রোধ করবে। শুক্রবার সেতু পরিদর্শনকালে রেলপথ সচিব জানিয়েছেন, নতুন সেতু চালু হলে ট্রেনগুলো দ্রুত চলতে পারবে, যা পূর্ববর্তী সেতুর তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর হবে।

তিনি আরও জানান, সেতুর ৯৭% কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী বছরের শুরুর দিকে সেতু উদ্বোধন করার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া, প্রকল্পে কোনো অর্থ সাশ্রয় হয়েছে কিনা, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বদল হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু রেলসেতু’র নাম 

আপডেট সময়: ০৫:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’র নাম পরিবর্তন করা হবে। ইতোমধ্যে ওই নাম বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সচিব জানান, নতুন নাম চূড়ান্ত না হলেও বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি অনুযায়ী, বিভিন্ন স্থাপনার নাম স্থানীয় এলাকার নামানুসারে রাখার প্রবণতা রয়েছে। এই নিয়ম অনুসরণ করে যমুনা নদীর ওপর নতুন নির্মিত রেল সেতুটির নামও বদলানো হতে পারে।

সচিব এই কথা বলেন যখন তিনি শুক্রবার সকালে সেতুর পশ্চিমপাড় এলাকা পরিদর্শন করেন। উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেয়, যার ফলে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ চালু হলে রেল চলাচল দ্রুততর হবে, যা দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান করবে। ২০০৮ সালে পূর্ববর্তী বঙ্গবন্ধু সেতুর ফাটল দেখা দেয়ার পর, সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেনের গতির সীমাবদ্ধতা ছিল ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার, যার কারণে শিডিউল বিপর্যয় এবং যাত্রী ভোগান্তি বেড়ে যায়। এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার যমুনা নদীর ওপর নতুন একটি রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়, যার প্রকল্প ব্যয় ছিল প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা।

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং সেতুর নাম দেওয়া হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’। এই সেতু নির্মাণে ৭২% অর্থ সহায়তা দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা), এবং জাপানের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিনটি প্যাকেজে সেতুর নির্মাণ কাজ করছে।

নতুন সেতু চালু হলে, ডবল লাইনে দ্রুত গতিতে মালবাহী ট্রেনসহ ৬৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে, যা রেলপথে আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি করবে এবং সময়ের অপচয় রোধ করবে। শুক্রবার সেতু পরিদর্শনকালে রেলপথ সচিব জানিয়েছেন, নতুন সেতু চালু হলে ট্রেনগুলো দ্রুত চলতে পারবে, যা পূর্ববর্তী সেতুর তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর হবে।

তিনি আরও জানান, সেতুর ৯৭% কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী বছরের শুরুর দিকে সেতু উদ্বোধন করার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া, প্রকল্পে কোনো অর্থ সাশ্রয় হয়েছে কিনা, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।