ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যে কারণে চাঁদপুরে জাহাজে খুন করা হয় ৭ জনকে

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সারবাহী এমভি আল বাখেরা জাহাজের সাতজন স্টাফকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ওই জাহাজেরই কর্মী আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান। ইরফান জাহাজের সুকানির সঙ্গে ইঞ্জিনরুমে কাজ করতো। তাকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে এই তথ্য জানিয়েছে র‍্যাব।

 

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের কারণে ক্ষুব্ধ ছিলেন ইরফান। সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।

 

র‍্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফানের দেওয়া তথ্যমতে, জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিল। সেখান থেকে তিন পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। আর যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেটি আগে থেকেই জাহাজে ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল। আগের দিন রাতের খাবার রান্নার সময় ইরফান জাহাজের বাবুর্চির অগোচরে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে সবাই অচেতন হয়ে পড়লে হাতে গ্লাভস পরে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাস্টারসহ সবাইকে হত্যা করেন ইরফান।

 

র‌্যাব জানায়, প্রথমে আকাশ মন্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করেন। মাস্টারকে খুনের তথ্য জাহাজে থাকা বাকিরা জেনে গেলে তিনি ধরা পড়বেন এজন্য পরে একে একে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

 

র‌্যাব আরও জানায়, যখন সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে তখন জাহাজ মাঝ নদীতে নোঙর করা ছিল। পরে সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজে জাহাজ চালিয়ে হাইমচর এলাকায় এসে অন্য ট্রলার দিয়ে পালিয়ে যান ইরফান।

যে কারণে চাঁদপুরে জাহাজে খুন করা হয় ৭ জনকে

আপডেট সময়: ০২:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সারবাহী এমভি আল বাখেরা জাহাজের সাতজন স্টাফকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন ওই জাহাজেরই কর্মী আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান। ইরফান জাহাজের সুকানির সঙ্গে ইঞ্জিনরুমে কাজ করতো। তাকে বাগেরহাটের চিতলমারী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে এই তথ্য জানিয়েছে র‍্যাব।

 

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের কারণে ক্ষুব্ধ ছিলেন ইরফান। সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন।

 

র‍্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফানের দেওয়া তথ্যমতে, জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিল। সেখান থেকে তিন পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। আর যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেটি আগে থেকেই জাহাজে ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল। আগের দিন রাতের খাবার রান্নার সময় ইরফান জাহাজের বাবুর্চির অগোচরে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সেই খাবার খেয়ে সবাই অচেতন হয়ে পড়লে হাতে গ্লাভস পরে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে মাস্টারসহ সবাইকে হত্যা করেন ইরফান।

 

র‌্যাব জানায়, প্রথমে আকাশ মন্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করেন। মাস্টারকে খুনের তথ্য জাহাজে থাকা বাকিরা জেনে গেলে তিনি ধরা পড়বেন এজন্য পরে একে একে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

 

র‌্যাব আরও জানায়, যখন সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে তখন জাহাজ মাঝ নদীতে নোঙর করা ছিল। পরে সবার মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজে জাহাজ চালিয়ে হাইমচর এলাকায় এসে অন্য ট্রলার দিয়ে পালিয়ে যান ইরফান।