ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিহত বেড়ে ৪৬; পাকিস্তানকে পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি আফগানিস্তানের

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী পাকতিকা প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছেন তালেবান সরকারের মুখপাত্র।

 

সেই সঙ্গে এ ঘটনার পর প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে আফগান সরকার।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পাকতিকা প্রদেশের চারটি স্থানে ওই বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

 

বুধবার তালেবান সরকারের ডেপুটি মুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিত্রাত জানিয়েছেন, হামলায় আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।

 

এদিকে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খাওরাজমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘আফগানিস্তান এই বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আক্রমণের একটি জঘন্য উদাহরণ বলে মনে করে…। আফগান সরকার এই কাপুরুষোচিত হামলার জবাব দেবে’।

 

তবে পাকিস্তান সরকার বা দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

 

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ। পাকিস্তানের অভিযোগ, তাদের দেশে হওয়া বহু সংখ্যক সন্ত্রাসী হামলার সূত্রপাত আফগানিস্তান থেকে হয়েছে।

 

তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

 

চলতি বছরের মার্চেও দুই প্রতিবেশির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তখন তালেবান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে দুটি বিমান হামলা চালানোর অভিযোগ তোলে। সেই হামলায় পাঁচজন নারী ও শিশু নিহত হয় বলে জানায় তারা।

 

পাকিস্তান সেই সময় স্বীকার করেছিল যে, তারা আফগানিস্তানে ‘গোয়েন্দা ভিত্তিক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’ চালিয়েছে। তবে এর প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

 

সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলো দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্ত অঞ্চলে এ ধরনের হামলা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে

 

 

নিহত বেড়ে ৪৬; পাকিস্তানকে পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি আফগানিস্তানের

আপডেট সময়: ০৭:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী পাকতিকা প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে জানিয়েছেন তালেবান সরকারের মুখপাত্র।

 

সেই সঙ্গে এ ঘটনার পর প্রতিবেশী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে আফগান সরকার।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পাকতিকা প্রদেশের চারটি স্থানে ওই বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

 

বুধবার তালেবান সরকারের ডেপুটি মুখপাত্র হামদুল্লাহ ফিত্রাত জানিয়েছেন, হামলায় আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।

 

এদিকে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েতুল্লাহ খাওরাজমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘আফগানিস্তান এই বর্বরোচিত কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আক্রমণের একটি জঘন্য উদাহরণ বলে মনে করে…। আফগান সরকার এই কাপুরুষোচিত হামলার জবাব দেবে’।

 

তবে পাকিস্তান সরকার বা দেশটির সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

 

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ। পাকিস্তানের অভিযোগ, তাদের দেশে হওয়া বহু সংখ্যক সন্ত্রাসী হামলার সূত্রপাত আফগানিস্তান থেকে হয়েছে।

 

তবে তালেবান সরকার এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

 

চলতি বছরের মার্চেও দুই প্রতিবেশির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তখন তালেবান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে দুটি বিমান হামলা চালানোর অভিযোগ তোলে। সেই হামলায় পাঁচজন নারী ও শিশু নিহত হয় বলে জানায় তারা।

 

পাকিস্তান সেই সময় স্বীকার করেছিল যে, তারা আফগানিস্তানে ‘গোয়েন্দা ভিত্তিক সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’ চালিয়েছে। তবে এর প্রকৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

 

সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলো দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্ত অঞ্চলে এ ধরনের হামলা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে