ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের টোলপ্লাজায় দুর্ঘটনার সময় বাসটি থামাতে অনেকবার ব্রেক কষলেও তা কাজ করেনি, এই তথ্য গ্রেপ্তার হওয়া বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেন, বাসচালক জানিয়েছেন যে, বাসটি অনেক দিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়েছিল এবং মেরামতের পর সেদিনই তা সড়কে নামানো হয়।
চালক আরও জানান, বাসটির ব্রেকের সমস্যা ছিল এবং তিনি মালিককে বিষয়টি জানালে মালিক তাকে ধীরে চালাতে বলেন। দুর্ঘটনার সময় বাসটি থামাতে না পারায় ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
এছাড়া, র্যাব জানিয়েছে যে, বাসচালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের লাইসেন্স নবায়ন ছিল না এবং তিনি নেশা করতেন, যা তিনি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার বলেছেন, চালক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন স্বীকার করেছেন যে, তিনি গাঁজা সেবন করতেন। তবে তিনি জানান, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বাস চালানোর সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না।
শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে চালক নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে, গাজীপুর অঞ্চল হাইওয়ে পুলিশ সুপার ড. আ ক ম আকতারুজ্জামান বসুনিয়া জানান, দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের পরিচয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।