ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে যুবদল সভাপতির গলা কাটা লাশ উদ্ধার

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় যুবদল সভাপতি আলমগীর হোসেনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সহড়াবাড়িয়া-কামারখালি সড়কের রাইমনতলা ইছাখালির মাঠ থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনী ইসরাইল এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

নিহত আলমগীর হোসেন গাংনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি এবং বাঁশবাড়িয়া উত্তারপাড়ার মইন উদ্দীনের ছেলে। তার সহকর্মীরা জানান, আলমগীর গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত গাংনী শহরে আড্ডা দেন। পরে গভীর রাতেও বাড়ি ফিরে না আসায়, তার পরিবার, যুবদল নেতৃবৃন্দ ও আত্মীয়স্বজনরা খোঁজখবর নিতে শুরু করেন, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তার মরদেহ একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

 

স্থানীয় জাকির হোসেন ও লোকমান আলী জানান, সকালে রাইমতলা ইছাখালির মাঠে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

 

আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই আল আমিন জানান, তার ভাই রাতে নিখোঁজ ছিলেন এবং পরিবারের মধ্যে কোনো অশান্তি ছিল না। সবাই মিলে ধারণা করছেন যে, তাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।

 

ওসি মো. বনী ইসরাইল বলেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে এবং আশা করা হচ্ছে শিগগিরই হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মেহেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মিল্টন, ষোলটাকা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিসহ বিএনপি ও যুবদলের নেতারা।

 

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন এই হত্যাকাণ্ডে সন্ত্রাসীদের জড়িত থাকার দাবি করেছেন এবং বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যা বিএনপিকে দুর্বল ও ভীত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তিনি সতর্ক করে দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে, দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

মেহেরপুরে যুবদল সভাপতির গলা কাটা লাশ উদ্ধার

আপডেট সময়: ০৩:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় যুবদল সভাপতি আলমগীর হোসেনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সহড়াবাড়িয়া-কামারখালি সড়কের রাইমনতলা ইছাখালির মাঠ থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনী ইসরাইল এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

নিহত আলমগীর হোসেন গাংনী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল সভাপতি এবং বাঁশবাড়িয়া উত্তারপাড়ার মইন উদ্দীনের ছেলে। তার সহকর্মীরা জানান, আলমগীর গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত গাংনী শহরে আড্ডা দেন। পরে গভীর রাতেও বাড়ি ফিরে না আসায়, তার পরিবার, যুবদল নেতৃবৃন্দ ও আত্মীয়স্বজনরা খোঁজখবর নিতে শুরু করেন, কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। শেষ পর্যন্ত তার মরদেহ একটি মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

 

স্থানীয় জাকির হোসেন ও লোকমান আলী জানান, সকালে রাইমতলা ইছাখালির মাঠে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

 

আলমগীর হোসেনের ছোট ভাই আল আমিন জানান, তার ভাই রাতে নিখোঁজ ছিলেন এবং পরিবারের মধ্যে কোনো অশান্তি ছিল না। সবাই মিলে ধারণা করছেন যে, তাকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।

 

ওসি মো. বনী ইসরাইল বলেন, হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে এবং আশা করা হচ্ছে শিগগিরই হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মেহেরপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মিল্টন, ষোলটাকা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনিসহ বিএনপি ও যুবদলের নেতারা।

 

মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন এই হত্যাকাণ্ডে সন্ত্রাসীদের জড়িত থাকার দাবি করেছেন এবং বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড, যা বিএনপিকে দুর্বল ও ভীত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তিনি সতর্ক করে দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হলে, দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।