ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউটিউবে রেকর্ড গড়লো সাংবাদিক ইলিয়াসকে দেয়া মেজর ডালিমের সাক্ষাৎকার

ইউটিউবে এক নতুন রেকর্ড গড়েছে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের চ্যানেলে সম্প্রচারিত মেজর শরিফুল হক ডালিমের সাক্ষাৎকার। ৫ জানুয়ারি রাত ৯টায় সরাসরি সম্প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারটি ইউটিউবের ইতিহাসে এক বিরল নজির তৈরি করেছে, কারণ একযোগে ৮ লক্ষাধিক দর্শক এটি দেখেছেন। ইউটিউব কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে যে, এটি তাদের প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য একটি অনন্য ঘটনা।

 

মেজর শরিফুল হক ডালিম, যিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, ৫০ বছর পর এই সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে আসেন। ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের এই সাক্ষাৎকারটি প্রাসঙ্গিকতার দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ডালিম তার জীবনের অজানা অধ্যায় ও বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।

 

এই সাক্ষাৎকারটি এখন পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় ৫৯ লাখ ২৪ হাজার দর্শক দেখেছেন এবং ৩৬ হাজার ৮০৩ জন মন্তব্য করেছেন। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অধিকাংশ দর্শকই মেজর ডালিম ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে জাতীয় হিরো হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কয়েকজন দর্শক তাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে শোনা ইতিহাসের সঙ্গে মেজর ডালিমের বক্তব্যের মিল খুঁজে পেয়েছেন। কেউ কেউ মেজর ডালিমকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং ইলিয়াস হোসেনের এই সাক্ষাৎকারের জন্য তার প্রশংসা করেছেন।

 

একজন দর্শক মন্তব্য করেছেন, “আমার বাবা আমাকে ৩০ বছর আগে যা বলেছিলেন, তা মেজর ডালিমের বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি মিল আছে।” অন্য একজন দর্শক লিখেছেন, “আমার বাবা একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন এবং তার কাছ থেকে শোনা ৯৫ শতাংশ তথ্য মেজর ডালিমের কথার সঙ্গে মিলে গেছে। সেলুট জানাই মেজর ডালিম স্যারকে, আপনি বাংলাদেশের সূর্যসন্তান।”

 

এভাবে, এই সাক্ষাৎকারটি শুধু একটি ইতিহাসের পুনর্স্মরণ নয়, বরং দেশের এক অজানা অধ্যায় উন্মোচন করার একটি যুগান্তকারী প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন এবং মেজর ডালিমের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা অনেকের কাছে সত্যিকারের অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে।

ইউটিউবে রেকর্ড গড়লো সাংবাদিক ইলিয়াসকে দেয়া মেজর ডালিমের সাক্ষাৎকার

আপডেট সময়: ০৬:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

ইউটিউবে এক নতুন রেকর্ড গড়েছে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের চ্যানেলে সম্প্রচারিত মেজর শরিফুল হক ডালিমের সাক্ষাৎকার। ৫ জানুয়ারি রাত ৯টায় সরাসরি সম্প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারটি ইউটিউবের ইতিহাসে এক বিরল নজির তৈরি করেছে, কারণ একযোগে ৮ লক্ষাধিক দর্শক এটি দেখেছেন। ইউটিউব কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে যে, এটি তাদের প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য একটি অনন্য ঘটনা।

 

মেজর শরিফুল হক ডালিম, যিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন, ৫০ বছর পর এই সাক্ষাৎকারে প্রকাশ্যে আসেন। ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের এই সাক্ষাৎকারটি প্রাসঙ্গিকতার দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ডালিম তার জীবনের অজানা অধ্যায় ও বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন।

 

এই সাক্ষাৎকারটি এখন পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় ৫৯ লাখ ২৪ হাজার দর্শক দেখেছেন এবং ৩৬ হাজার ৮০৩ জন মন্তব্য করেছেন। বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অধিকাংশ দর্শকই মেজর ডালিম ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে জাতীয় হিরো হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। কয়েকজন দর্শক তাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে শোনা ইতিহাসের সঙ্গে মেজর ডালিমের বক্তব্যের মিল খুঁজে পেয়েছেন। কেউ কেউ মেজর ডালিমকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং ইলিয়াস হোসেনের এই সাক্ষাৎকারের জন্য তার প্রশংসা করেছেন।

 

একজন দর্শক মন্তব্য করেছেন, “আমার বাবা আমাকে ৩০ বছর আগে যা বলেছিলেন, তা মেজর ডালিমের বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি মিল আছে।” অন্য একজন দর্শক লিখেছেন, “আমার বাবা একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন এবং তার কাছ থেকে শোনা ৯৫ শতাংশ তথ্য মেজর ডালিমের কথার সঙ্গে মিলে গেছে। সেলুট জানাই মেজর ডালিম স্যারকে, আপনি বাংলাদেশের সূর্যসন্তান।”

 

এভাবে, এই সাক্ষাৎকারটি শুধু একটি ইতিহাসের পুনর্স্মরণ নয়, বরং দেশের এক অজানা অধ্যায় উন্মোচন করার একটি যুগান্তকারী প্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন এবং মেজর ডালিমের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টা অনেকের কাছে সত্যিকারের অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছে।