ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাশিয়া-ইরানের মধ্যে ২০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান একটি ২০ বছরের কৌশলগত অংশীদারি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

 

বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে এই চুক্তি, গতকাল ক্রেমলিন এসব তথ্য জানিয়েছে। রাশিয়া-ইরানের মধ্যে এ ধরনের চুক্তি পশ্চিমাদের উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।

 

গত বছর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটির ক্ষমতায় আসেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের পর বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো রাশিয়া সফরে আসেন তিনি। এই সফরেই তিনি রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করলেন।

 

চুক্তি স্বাক্ষরের পর পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমরা একটি বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠার পথে এগোতে চাই এবং এই পথের একটি উদ্দীপক পদক্ষেপ হলো এই চুক্তি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দুই দেশ সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে বিশেষ করে বাণিজ্যে।’

 

অন্যদিকে পুতিন বলেন, ‘এই চুক্তির ফলে শুধু নিরাপত্তা খাতই নয়, বরং অর্থনীতি ও বাণিজ্য খাতেও দুই দেশের সহযোগিতামূলক তৎপরতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এখন থেকে উভয় দেশের যাবতীয় অর্থনৈতিক আদান-প্রদান দুই দেশের নিজ নিজ মুদ্রায় হবে।’

 

ইরানের রাশিয়া বিশেষজ্ঞ এবং প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিজ্ঞানী অধ্যাপক রুহুল্লাহ মুদাব্বির বলেছেন, নতুন চুক্তি শুধু দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াবে না, বরং তাদের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো শক্তিশালী করবে।

 

এই চুক্তিতে উভয় দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণের পর থেকে ইরানি শাসকদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। ইরান ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহৃত শাহেদ ড্রোন রাশিয়াকে সরবরাহ করেছে।

রাশিয়া-ইরানের মধ্যে ২০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

আপডেট সময়: ০৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান একটি ২০ বছরের কৌশলগত অংশীদারি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

 

বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় করবে এই চুক্তি, গতকাল ক্রেমলিন এসব তথ্য জানিয়েছে। রাশিয়া-ইরানের মধ্যে এ ধরনের চুক্তি পশ্চিমাদের উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকরা।

 

গত বছর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটির ক্ষমতায় আসেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের পর বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো রাশিয়া সফরে আসেন তিনি। এই সফরেই তিনি রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করলেন।

 

চুক্তি স্বাক্ষরের পর পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমরা একটি বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠার পথে এগোতে চাই এবং এই পথের একটি উদ্দীপক পদক্ষেপ হলো এই চুক্তি।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দুই দেশ সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে বিশেষ করে বাণিজ্যে।’

 

অন্যদিকে পুতিন বলেন, ‘এই চুক্তির ফলে শুধু নিরাপত্তা খাতই নয়, বরং অর্থনীতি ও বাণিজ্য খাতেও দুই দেশের সহযোগিতামূলক তৎপরতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। এখন থেকে উভয় দেশের যাবতীয় অর্থনৈতিক আদান-প্রদান দুই দেশের নিজ নিজ মুদ্রায় হবে।’

 

ইরানের রাশিয়া বিশেষজ্ঞ এবং প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিজ্ঞানী অধ্যাপক রুহুল্লাহ মুদাব্বির বলেছেন, নতুন চুক্তি শুধু দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াবে না, বরং তাদের মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো শক্তিশালী করবে।

 

এই চুক্তিতে উভয় দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

 

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণের পর থেকে ইরানি শাসকদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। ইরান ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামো এবং বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহৃত শাহেদ ড্রোন রাশিয়াকে সরবরাহ করেছে।