ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রেকর্ড বই থেকে সাকিবকে মুছে দিতে যাচ্ছেন তাসকিন

দলের অবস্থা তেমন ভালো নয়। ৯ ম্যাচ খেলে দুর্বার রাজশাহী জিতেছে মাত্র ৩টিতে। সুতার ওপর ঝুলছে দলটির প্লে-অফ ভাগ্য। তবে সেই দলেরই এক বোলারের নাম উইকেটশিকারিদের তালিকায় সবার ওপরে জ্বলজ্বল করছে। বোলারের নাম তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার ৯ ম্যাচে নিয়েছেন ২০ উইকেট। এর ৭টিই এক ম্যাচে, মিরপুরে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। বিপিএলে যা সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় সেরা।

 

গত ম্যাচ থেকে দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়কত্বের ভারও উঠেছে সেই তাসকিনের চওড়া কাঁধে। তাসকিন দলকে শীর্ষ চারে রেখে প্লে-অফ পর্বে তুলতে পারবেন কি না, কে জানে! তবে দল প্লে-অফ নিশ্চিত করতে না পারলেও তাসকিন আরও বড় একটি রেকর্ড নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারেন।

 

রেকর্ডটা বিপিএলে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার। ২০ উইকেট তো হয়েই গেছে। লিগ পর্বে রাজশাহীর হাতে থাকা তিন ম্যাচে ৪ উইকেট পেলেই রেকর্ড হয়ে যাবে। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ২৩ উইকেট নিয়ে যে রেকর্ডের মালিক সাকিব আল হাসান। সাকিব সেই মৌসুমে খেলেছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে। ২৩ উইকেট নিতে তাঁকে খেলতে হয়েছিল ১৫ ম্যাচ।

 

 

এবারের বিপিএলের শীর্ষ তিন বোলার

 

উইকেট বোলার দল ম্যাচ সেরা
২০ তাসকিন আহমেদ দুর্বার রাজশাহী ৭/১৯
১৩ আবু হায়দার খুলনা টাইগার্স ৪/৪৪
১২ আকিফ জাভেদ রংপুর রাইডার্স ৪/৩২

 

সাকিব পেছনে ফেলেছিলেন নিজেকেই। আগের মৌসুমে একই দলের হয়ে ১৩ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে ছুঁয়েছিলেন এই রেকর্ডটা। আগে যা ছিল কেভন কুপারের। ২০১৫-১৬ মৌসুমে বরিশাল বুলসের হয়ে এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসারের ২২ উইকেট এসেছিল মাত্র ৯ ম্যাচে।

 

বিপিএলে এক মৌসুমে ২২ উইকেট নেওয়া বোলার আছেন আরও চারজন। তাঁদের তিনজনই তা নিয়েছিলেন ২০১৮-১৯ মৌসুমে। সেই তিনজনের মধ্যেও ছিলেন তাসকিন। বাকি দুজন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেন। গত মৌসুমে ২২ উইকেট নিয়ে সেই তালিকায় যোগ দেন শরীফুল ইসলাম।

বিপিএলে এক মৌসুমে ২১ উইকেট নিয়েছেন দুজন—২০১৫-১৬ মৌসুমে আবু হায়দার ও ২০১৬-১৭ মৌসুমে ডোয়াইন ব্রাভো।

 

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ৩৩ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে। সেই রেকর্ড দুজনের। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট টি-টোয়েন্টিতে আলফনসো টমাস ও ২০২৪ সালে ইংল্যান্ডেরই ভাইটালিটি ব্লাস্টে ডেভিড পেইন নিয়েছিলেন ৩৩টি করে উইকেট। যদিও টমাস ম্যাচ খেলেছিলেন ১৯টি, পেইন ১৭টি।

 

 

রেকর্ড বই থেকে সাকিবকে মুছে দিতে যাচ্ছেন তাসকিন

আপডেট সময়: ০৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

দলের অবস্থা তেমন ভালো নয়। ৯ ম্যাচ খেলে দুর্বার রাজশাহী জিতেছে মাত্র ৩টিতে। সুতার ওপর ঝুলছে দলটির প্লে-অফ ভাগ্য। তবে সেই দলেরই এক বোলারের নাম উইকেটশিকারিদের তালিকায় সবার ওপরে জ্বলজ্বল করছে। বোলারের নাম তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার ৯ ম্যাচে নিয়েছেন ২০ উইকেট। এর ৭টিই এক ম্যাচে, মিরপুরে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। বিপিএলে যা সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় সেরা।

 

গত ম্যাচ থেকে দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়কত্বের ভারও উঠেছে সেই তাসকিনের চওড়া কাঁধে। তাসকিন দলকে শীর্ষ চারে রেখে প্লে-অফ পর্বে তুলতে পারবেন কি না, কে জানে! তবে দল প্লে-অফ নিশ্চিত করতে না পারলেও তাসকিন আরও বড় একটি রেকর্ড নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারেন।

 

রেকর্ডটা বিপিএলে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার। ২০ উইকেট তো হয়েই গেছে। লিগ পর্বে রাজশাহীর হাতে থাকা তিন ম্যাচে ৪ উইকেট পেলেই রেকর্ড হয়ে যাবে। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ২৩ উইকেট নিয়ে যে রেকর্ডের মালিক সাকিব আল হাসান। সাকিব সেই মৌসুমে খেলেছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে। ২৩ উইকেট নিতে তাঁকে খেলতে হয়েছিল ১৫ ম্যাচ।

 

 

এবারের বিপিএলের শীর্ষ তিন বোলার

 

উইকেট বোলার দল ম্যাচ সেরা
২০ তাসকিন আহমেদ দুর্বার রাজশাহী ৭/১৯
১৩ আবু হায়দার খুলনা টাইগার্স ৪/৪৪
১২ আকিফ জাভেদ রংপুর রাইডার্স ৪/৩২

 

সাকিব পেছনে ফেলেছিলেন নিজেকেই। আগের মৌসুমে একই দলের হয়ে ১৩ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়ে ছুঁয়েছিলেন এই রেকর্ডটা। আগে যা ছিল কেভন কুপারের। ২০১৫-১৬ মৌসুমে বরিশাল বুলসের হয়ে এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেসারের ২২ উইকেট এসেছিল মাত্র ৯ ম্যাচে।

 

বিপিএলে এক মৌসুমে ২২ উইকেট নেওয়া বোলার আছেন আরও চারজন। তাঁদের তিনজনই তা নিয়েছিলেন ২০১৮-১৯ মৌসুমে। সেই তিনজনের মধ্যেও ছিলেন তাসকিন। বাকি দুজন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেন। গত মৌসুমে ২২ উইকেট নিয়ে সেই তালিকায় যোগ দেন শরীফুল ইসলাম।

বিপিএলে এক মৌসুমে ২১ উইকেট নিয়েছেন দুজন—২০১৫-১৬ মৌসুমে আবু হায়দার ও ২০১৬-১৭ মৌসুমে ডোয়াইন ব্রাভো।

 

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ৩৩ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আছে। সেই রেকর্ড দুজনের। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের ফ্রেন্ডস প্রভিডেন্ট টি-টোয়েন্টিতে আলফনসো টমাস ও ২০২৪ সালে ইংল্যান্ডেরই ভাইটালিটি ব্লাস্টে ডেভিড পেইন নিয়েছিলেন ৩৩টি করে উইকেট। যদিও টমাস ম্যাচ খেলেছিলেন ১৯টি, পেইন ১৭টি।