ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিঙ্গাপুরের আইনে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এস আলমের

অবৈধ সম্পদ রক্ষায় বিশ্বের কোনও আদালতেই জিততে পারবে না কুখ্যাত ব্যাংক ডাকাত সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম। পাচার করা অর্থ ফেরত আনার পাশাপাশি তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে বদ্ধ পরিকর অন্তর্বর্তী সরকার।

 

রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশি এই ব্যাংক লুটেরা নিজেকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে দাবি করলেও রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বরং কৃত অপরাধের কারণে সিঙ্গাপুরের আইনেই তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

 

বাংলাদেশের ব্যাংক খাত থেকে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা লুট করে পাচার করা দেশি ডাকাত এস আলম এখন নিজেকে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী দাবি করছেন। বাংলাদেশে থাকা তার অবশিষ্ট সম্পদ রক্ষায় আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করারও হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তিনি। এস আলমের এমন ঔদ্ধত্যে উৎসাহ যোগাচ্ছে তার প্রতি হাসিনা সরকারের নজিরবিহীন আনুকূল্য।

জানা যায়, দেশের ব্যাংকিং খাতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশী পাসপোর্ট প্রত্যাহার করেন এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তাদের তিন ছেলে আহসানুল আলম, আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহির।

একই দিন বিদেশি নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে স্থায়ী বসবাসের পার্মানেন্ট রেসিডেন্সিয়াল বা পিআর পায় এস আলম পরিবার। শেখ হাসিনার নির্দেশে এসব সুবিধা দিয়েছিল তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তারা বলছেন, সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করে এস আলম তার অবৈধ সম্পদ রক্ষায় আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার যে হুমকি দিচ্ছেন, তা ডুবন্ত অবস্থায় খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা মাত্র।

সিঙ্গাপুরের আইনে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে এস আলমের

আপডেট সময়: ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

অবৈধ সম্পদ রক্ষায় বিশ্বের কোনও আদালতেই জিততে পারবে না কুখ্যাত ব্যাংক ডাকাত সাইফুল আলম মাসুদ ওরফে এস আলম। পাচার করা অর্থ ফেরত আনার পাশাপাশি তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে বদ্ধ পরিকর অন্তর্বর্তী সরকার।

 

রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশি এই ব্যাংক লুটেরা নিজেকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে দাবি করলেও রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বরং কৃত অপরাধের কারণে সিঙ্গাপুরের আইনেই তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

 

বাংলাদেশের ব্যাংক খাত থেকে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা লুট করে পাচার করা দেশি ডাকাত এস আলম এখন নিজেকে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী দাবি করছেন। বাংলাদেশে থাকা তার অবশিষ্ট সম্পদ রক্ষায় আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করারও হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তিনি। এস আলমের এমন ঔদ্ধত্যে উৎসাহ যোগাচ্ছে তার প্রতি হাসিনা সরকারের নজিরবিহীন আনুকূল্য।

জানা যায়, দেশের ব্যাংকিং খাতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পর ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর বাংলাদেশী পাসপোর্ট প্রত্যাহার করেন এস আলম, তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন এবং তাদের তিন ছেলে আহসানুল আলম, আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম মাহির।

একই দিন বিদেশি নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে স্থায়ী বসবাসের পার্মানেন্ট রেসিডেন্সিয়াল বা পিআর পায় এস আলম পরিবার। শেখ হাসিনার নির্দেশে এসব সুবিধা দিয়েছিল তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তারা বলছেন, সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করে এস আলম তার অবৈধ সম্পদ রক্ষায় আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার যে হুমকি দিচ্ছেন, তা ডুবন্ত অবস্থায় খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা মাত্র।