বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভারতের নানা আচরণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি প্রশ্ন করেন, এটা কোন ধরনের বন্ধুত্ব, এটা কোন ধরনের প্রতিবেশীসুলভ আচরণ?
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লন্ডনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় আমাদের সহযোগিতা করেছিল। আমরা সবসময় প্রত্যাশা করি ভারত বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়াবে। কোনো একটা বিশেষ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না, একথা আমরা প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন, আমাদের আগরতলা কনস্যুলেটে হামলা করেছে, কলকাতায় হামলা হয়েছে। আমাদেরকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে আগামীর সময় পার করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ভারত অতীতে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যে ভুল করেছে সেটিকে তারা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবে। পাশাপাশি বর্তমানে যে কার্যকলাপ করেছে তা বন্ধ করবে।
শেখ হাসিনা সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলেছে, প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। চিন্তা করা যায় একটা দেশের সরকার তার দেশের সম্পদ এভাবে লুট করে নিয়ে যেতে পারে। এই লন্ডনেও সরকারের মাত্র এক ব্যক্তির ৩৬৫টি বাড়ি রয়েছে!
বিএনপির এই নেতা বলেন, সব প্রতিষ্ঠান তারা ধ্বংস করে দিয়েছিল। নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। তিন তিনটি নির্বাচন জোর করে দখল করে নিয়েছিল।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমরা তারেক রহমানকে আর এখানে (লন্ডন) রাখতে চাই না। দেশের মানুষ তার জন্য অপেক্ষা করছে, বলছে- কবে তারেক রহমান আসবেন।