গণ অধিকার পরিষদের একাংশ তার নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম ‘আমজনতার দল’ ঘোষণা করেছে। আজ মঙ্গলবার পুরানা পল্টনে, প্রতীম জামান টাওয়ারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দলটির আহ্বায়ক মিয়া মশিউজ্জামান এ ঘোষণা দেন।
দলের স্লোগান হিসেবে ‘স্বনির্ভর অর্থনীতি ও সুশাসনে সমৃদ্ধি’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, ‘আমজনতার দল’-এর তিনটি মূলনীতি হলো: সার্বভৌমত্ব, স্বনির্ভরতা ও সুশাসন।
এ প্রসঙ্গে মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে গণ অধিকার পরিষদ তার নাম পরিবর্তন করে এখন থেকে আমজনতা দল নামে পরিচিত হবে। এই পরিবর্তন আমাদের আগ্রাসনবিরোধী লড়াইয়ের সাংগঠনিক রূপান্তরের প্রতীক এবং জনগণের সঙ্গে আরো সরাসরি সংযোগ স্থাপনের একটি নতুন প্রয়াস।”
এছাড়া, মিয়া মশিউজ্জামান আরও বলেন যে, ‘গণ অধিকার পরিষদ’ নামটির বিভ্রান্তি এবং সংগঠনীয় দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছিল। “২০২৩ সালের ২০ জুন, গণ অধিকার পরিষদ একটি নৈতিক ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়। এই বিভাজন আমাদের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি এবং অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করছিল।”
দলটির আহ্বায়ক জানান, “আমরা আগামী দিনগুলোতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, বিশেষত ২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের বিনিময়ে, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।”
২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর ড. রেজা কিবরিয়া এবং নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে ‘গণ অধিকার পরিষদ’ আত্মপ্রকাশ করেছিল। পরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন রেজা কিবরিয়া এবং মিয়া মশিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বে নতুন অংশ গঠন হয়।
বর্তমানে নূরুল হক নুরের পক্ষ নির্বাচনী কমিশনের নিবন্ধনও পেয়েছে, এবং উভয় পক্ষ একযোগে শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে বিএনপির সাথে অংশ নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
‘আমজনতার দল’ নতুন এই নামের মাধ্যমে আগ্রাসনবিরোধী এবং জনগণের অধিকারের পক্ষে এক নতুন লড়াইয়ের সূচনা করেছে, এমনটাই জানিয়েছেন দলের নেতারা।