বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেছেন, দেশে ফ্যাসিবাদের শীর্ষ নেতৃত্ব পালিয়ে গেলেও তার সহযোগীরা এখনো সক্রিয় রয়েছে। এসব দোসররা দেশের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কুমিল্লার যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের নির্মম হত্যাকাণ্ড সেই ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে দাবি করেন তিনি।
সোমবার কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর নির্যাতনে নিহত যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন টুকু।
তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। গত ৩০ জানুয়ারি রাতে যৌথবাহিনী পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে গোমতী নদীর পাড়ে ফেলে রাখা হয়। পুলিশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টুকু বলেন, ‘ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার ছিল গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করা। কিন্তু প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী দোসররা এখনো এসব রক্তাক্ত ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। যারা তাকে সহায়তা করেছিল, তারা এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে। সরকার তাদের চিহ্নিত বা শাস্তির আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে। এই উদাসীনতার কারণেই আজ একজন যুবদল নেতা প্রাণ হারিয়েছেন।’
এসময় জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।