ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন ছাত্র সংগঠন নিয়ে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের নেতৃত্বে একটি নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন সংগঠনটি ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ স্লোগান ধারণ করবে। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য নতুন এক রাজনীতির ধারণা প্রতিষ্ঠা করা।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আবু বাকের মজুমদার এ তথ্য জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের সময় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন, তবে আন্দোলনের পর তারা তাদের নিজস্ব সংগঠনে ফিরে গেছেন। কিন্তু আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনেক শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন, যারা কোনও সংগঠনের সদস্য ছিলেন না। তাদের জন্য এখন কোনও সংস্থা নেই, সে কারণেই এই নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই উদ্যোগের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাজন ঘটেনি, বরং এটি একটি আলাদা উদ্যোগ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের নিজস্ব গঠনতন্ত্র ও অর্গানোগ্রামের মধ্যে চলবে, আর এই নতুন সংগঠনটি সম্পূর্ণ আলাদা।’

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, ‘আমাদের এই ছাত্র সংগঠন একটি নতুন উদ্যোগ। বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হবে, এমনটাই আমাদের লক্ষ্য। এটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ নয়। আমাদের নিজেদের গঠনতন্ত্র ও পলিসি অনুযায়ী এটি পরিচালিত হবে।’

আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা জুলাই মাসে কোটা বৈষম্য নিরসনে আন্দোলন শুরু করি। এই আন্দোলনে বিভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হয়েছিলেন। আন্দোলনের পরবর্তীতে, আমাদের উদ্দেশ্য হলো ফ্যাসিবাদী সিস্টেমের সম্পূর্ণ বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা। এই দুই লক্ষ্য অর্জন করতে, আমরা নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

নতুন ছাত্র সংগঠন নিয়ে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ

আপডেট সময়: ০৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের নেতৃত্বে একটি নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন সংগঠনটি ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ স্লোগান ধারণ করবে। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য নতুন এক রাজনীতির ধারণা প্রতিষ্ঠা করা।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে আবু বাকের মজুমদার এ তথ্য জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের সময় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন, তবে আন্দোলনের পর তারা তাদের নিজস্ব সংগঠনে ফিরে গেছেন। কিন্তু আন্দোলনের অংশ হিসেবে অনেক শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন, যারা কোনও সংগঠনের সদস্য ছিলেন না। তাদের জন্য এখন কোনও সংস্থা নেই, সে কারণেই এই নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই উদ্যোগের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভাজন ঘটেনি, বরং এটি একটি আলাদা উদ্যোগ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের নিজস্ব গঠনতন্ত্র ও অর্গানোগ্রামের মধ্যে চলবে, আর এই নতুন সংগঠনটি সম্পূর্ণ আলাদা।’

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, ‘আমাদের এই ছাত্র সংগঠন একটি নতুন উদ্যোগ। বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি নতুন করে প্রতিষ্ঠিত হবে, এমনটাই আমাদের লক্ষ্য। এটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ নয়। আমাদের নিজেদের গঠনতন্ত্র ও পলিসি অনুযায়ী এটি পরিচালিত হবে।’

আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা জুলাই মাসে কোটা বৈষম্য নিরসনে আন্দোলন শুরু করি। এই আন্দোলনে বিভিন্ন মতাদর্শের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হয়েছিলেন। আন্দোলনের পরবর্তীতে, আমাদের উদ্দেশ্য হলো ফ্যাসিবাদী সিস্টেমের সম্পূর্ণ বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা। এই দুই লক্ষ্য অর্জন করতে, আমরা নতুন ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’