নতুন রাজনৈতিক দলের গঠনের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে থাকা ছাত্রশিবিরের সাবেক আলোচিত তিন নেতা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে থাকা নতুন দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পৃথক পোস্টে তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ৮ সেপ্টেম্বর গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটিতে বিভিন্ন মতধারার সাবেক নেতারা ছিলেন, যার মধ্যে ছাত্রশিবিরের সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি, ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক নেতা, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির নেতাসহ ডান, বাম ও মধ্যমপন্থি ধারার নেতারা ছিলেন। এছাড়া অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা সাংবাদিক, লেখক, অ্যাক্টিভিস্টরা যুক্ত ছিলেন। তবে শেষ সময়ে শীর্ষ নেতৃত্বে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা এবং সংগঠনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা তীব্র হয়, যা শেষে ফেসবুক পোস্টে প্রকাশ পায়।

আলী আহসান জুনায়েদ (শিবিরের সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি) জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন না। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, “২৮ ফেব্রুয়ারি তরুণদের নেতৃত্বে যেই নতুন রাজনৈতিক দলটি আসছে, সেখানে আমি থাকছি না। আমি আরও সপ্তাহখানেক আগেই দলের নেতাদের জানিয়ে দিয়েছি।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দলটির প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক এবং ইনক্লুসিভ হবে এবং রাজনীতি ট্যাবু ও ট্যাগিং থেকে মুক্ত হয়ে নতুন ধারার রাজনীতি গড়ে উঠবে।

তাঁর ঘোষণার পরপরই রাফে সালমান রিফাত (শিবিরের সাবেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি)ও জানিয়েছেন যে, ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ঘোষিত নতুন রাজনৈতিক দলের অংশ হচ্ছেন না। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে জানান, “রাজনীতি একটা লম্বা রেইস, ধৈর্য নিয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্যই আমাদের এ রেইসে টিকে থাকতে হবে।” তিনি নতুন বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছেন, যা হবে ডেমোক্রেটিক, ইনক্লুসিভ, বৈষম্যহীন এবং আধিপত্য মুক্ত।

এদিকে, আরেফিন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ (শিবির নেতা) ইতোমধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির সহমুখপাত্র পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগের কারণ ছিল শিবির সংশ্লিষ্টতার কারণে শীর্ষ নেতৃত্বে সাবেক শিবির নেতাদের নিয়োগ না দেওয়ার অভিযোগ।

এছাড়া, বর্তমানে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে চীন সফরে রয়েছেন আলী আহসান জুনায়েদ এবং রাফে সালমান রিফাত, ফলে তারা নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না।