দেয়ালিকা ডেস্ক 
অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আত্মপ্রকাশ করেছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। গণঅভ্যুত্থান থেকে জন্ম নেওয়া এই দলটি ঘোষণা করেছে, তারা বাংলাদেশের পক্ষে রাজনীতি করবে এবং দেশের স্বার্থে কাজ করবে।
দল গঠনের পরদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ তার পরিচয় তুলে ধরে লিখেছেন, “রাজনীতির আগেও আমার পরিচয় আমি একজন মুসলমান। আমি আমার এই পরিচয় ধারণ করি, সবসময় করেই যাবো।” তিনি আরও বলেন, “আমার বিশ্বাস কিংবা আমার দেশের মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করে কোনো রাজনীতি আমি কখনও করবো না।” একই সাথে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থি কিছুই আমার বা আমাদের রাজনীতিতে কখনও জায়গা পাবে না।”
নিজেদের ভুলের দায় স্বীকার করে হাসনাত আবদুল্লাহ লেখেন, “যা হয়েছে, সেটা ছিল একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। আমরা নির্ভুল নই। কোনও ভুল করলে আপনারা আমাদের নিজের ভাই মনে করে ভুল ধরিয়ে দেবেন, এবং ‘যদি’, ‘কিন্তু’, ‘অথবা’ ব্যতীত আমরা আমাদের ভুল সংশোধন করে নেব।”
গতকাল শুক্রবার ঘোষিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ১৭১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে জুলাই আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে ১০ জন শীর্ষ পদে রয়েছেন। কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এতে মধ্য, ডান, বাম, শিবির, কওমিপন্থি, আদিবাসী এবং ১৫ নারী সদস্য স্থান পেয়েছেন।
শীর্ষ ১০ পদে রয়েছেন:
- আহ্বায়ক: মো. নাহিদ ইসলাম
- সদস্য সচিব: আখতার হোসেন
- জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক: সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব
- জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব: তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা
- প্রধান সমন্বয়কারী: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
- যুগ্ম সমন্বয়ক: আবদুল হান্নান মাসউদ
- মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল): হাসনাত আবদুল্লাহ
- মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল): সারজিস আলম
এছাড়া, কমিটিতে ১৬ যুগ্ম আহ্বায়ক, ৩২ যুগ্ম সদস্য সচিব, ১২ যুগ্ম মুখ্য সংগঠক, ৪৪ সংগঠক, ১৪ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক এবং ৪৩ সদস্যও রয়েছেন।
এনসিপির প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে, যেখানে দলটি ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি সম্মান রেখে দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
