ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাবিতে শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রেললাইন অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও ঢাবি কেন্দ্রীকতার প্রতিবাদে এই অবরোধ করেছেন তারা।

 

আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনের সামনে রেল লাইনে বসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কেরা। তারা জানান, যে চেতনা আদর্শ নিয়ে দেশ পুনরায় স্বাধীন হলো, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে গড়ার ক্ষেত্রে এখনও বৈষম্য রয়ে গেছে।

 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কমিটিতে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক আধিপত্য, পিএসসি,  ইউজিসি থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই ঢাকাকে প্রাধান্য দেওয়া, উত্তর অঞ্চলকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করছেন তারা। রংপুরের আবু সাঈদ থেকে শুরু করে রাজশাহীর আলী রায়হানরা রক্ত দিয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য। অথচ সব ক্ষেত্রেই এ অঞ্চলকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা কাম্য নয়। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আহত ও শহীদদের সহায়তার ক্ষেত্রেও বৈষম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কামনা নয় বলেও মন্তব্য করেন সমন্বয়কেরা।

 

রাবির সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘সাত মাস হয়ে যাওয়ার পরও সবকিছু এক কেন্দ্রীক। বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি, ইউজিসি, পিএসসি প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রশাসন নিয়োগ, উপদেষ্টা মন্ডলি সকল জায়াগার স্টেক হিসেবে শুধুমাত্র এক কেন্দ্রিক ঢাকা এবং ঢাবি আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। আমরা চাই বৈষম্যহীণ বাংলাদেশ। প্রত্যেকটা স্টেক রক্ত ঝড়িয়েছে। সবাই যেন সবার রক্তের হিসসা বুঝে পায় এটা আমরা অবশ্যই চাই।’

রাবিতে শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

আপডেট সময়: ০১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রেললাইন অবরোধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ও ঢাবি কেন্দ্রীকতার প্রতিবাদে এই অবরোধ করেছেন তারা।

 

আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনের সামনে রেল লাইনে বসে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভে অংশ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কেরা। তারা জানান, যে চেতনা আদর্শ নিয়ে দেশ পুনরায় স্বাধীন হলো, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে গড়ার ক্ষেত্রে এখনও বৈষম্য রয়ে গেছে।

 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কমিটিতে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক আধিপত্য, পিএসসি,  ইউজিসি থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই ঢাকাকে প্রাধান্য দেওয়া, উত্তর অঞ্চলকে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করছেন তারা। রংপুরের আবু সাঈদ থেকে শুরু করে রাজশাহীর আলী রায়হানরা রক্ত দিয়েছে এই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য। অথচ সব ক্ষেত্রেই এ অঞ্চলকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা কাম্য নয়। বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আহত ও শহীদদের সহায়তার ক্ষেত্রেও বৈষম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কামনা নয় বলেও মন্তব্য করেন সমন্বয়কেরা।

 

রাবির সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘সাত মাস হয়ে যাওয়ার পরও সবকিছু এক কেন্দ্রীক। বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি, ইউজিসি, পিএসসি প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রশাসন নিয়োগ, উপদেষ্টা মন্ডলি সকল জায়াগার স্টেক হিসেবে শুধুমাত্র এক কেন্দ্রিক ঢাকা এবং ঢাবি আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। আমরা চাই বৈষম্যহীণ বাংলাদেশ। প্রত্যেকটা স্টেক রক্ত ঝড়িয়েছে। সবাই যেন সবার রক্তের হিসসা বুঝে পায় এটা আমরা অবশ্যই চাই।’