রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে জাহাঙ্গীর আলমের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদত্যাগের দাবিতে বামপন্থি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা গণপদযাত্রা শুরু করেন, তবে পুলিশি বাধার মুখে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের লাঠিচার্জে আন্দোলনকারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মারধরে রমনা থানার এসিসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন।
দুপুর ৩ টা ১০ মিনিট নাগাদ এ সংঘর্ষ শুরু হয়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক সাজেদুল ইসলাম, শাকিল আহমেদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী অং মারমা এবং ওহী। পুলিশ বাহিনীর সদস্য রমনা থানার এসি সহ আরও অন্তত ৩ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে, বামপন্থি ছাত্রসংগঠনগুলো স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের ব্যর্থতার জন্য তার পদত্যাগ এবং ধর্ষণ ও নিপীড়ন সংক্রান্ত দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল গঠনের দাবি জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দিকে একটি গণপদযাত্রা শুরু করে। বিকেল আড়াইটা নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হওয়া এই পদযাত্রাটি শাহবাগ হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলমের পদত্যাগ চেয়ে একাধিক স্লোগান দেন। পুলিশের বাধার মুখে লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটে, পরে আন্দোলনকারীরা আধাঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন এবং হামলার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
ঘটনাস্থলে থাকা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী অদৃতা রয় জানান, পুলিশের হামলার কারণে নারীদের পোশাক ছিঁড়ে যায় এবং তারা লাঠিচার্জের শিকার হন। তিনি বলেন, “আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ব্যর্থ পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে আপোষ করব না।” আন্দোলনকারীরা আরও জানান, এর প্রতিবাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মশাল মিছিল করার পরিকল্পনা করেছেন।
এদিকে, রমনা জোনের ডিসি মাসুদ আলম বলেন, “আমরা তাদের পদযাত্রার বিষয়ে প্রস্তুত ছিলাম, তবে তারা হঠাৎ করে ব্যারিকেড ভেঙে আমাদের বাধা অগ্রাহ্য করে। আমরা লাঠিচার্জ করিনি, তবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে কিছু আহত হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “তারা আমাদের পরামর্শ না শুনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু আমাদের কাজ ছিল তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
এ ঘটনার পর, আন্দোলনকারীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, এবং তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।