ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘গান বাংলা’ দখলের অভিযোগে তাপস-মুন্নীসহ ৫ জনের নামে মামলা

Taposh & Munny

দেশের একমাত্র সঙ্গীতভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ‘গান বাংলা। এবার সেই গান বাংলা’র অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে গানভিত্তিক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার মালিকানা দখলের অভিযোগে কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সৈয়দ শামস উদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তি গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ছানাউল্ল্যাহর আদালতে এই মামলার আবেদন করেন।

এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। শুক্রবার মামলা দায়েরের বিষয়টি আদালত সূত্রে জানা যায়।

মামলায় গান বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাপস ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান মুন্নী ছাড়া অন্য আসামীরা হলেন, রবি শংকর মৈত্রী, এম. আমানুল্লাহ খান (চঞ্চল খান), সৈয়দ নাবিল আশরাফ।

এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। আগামী ৯ ডিসেম্বর তাপসকে তার উপস্থিতিতে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো বিষয়ে শুনানি হবে।

গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৫ জুলাই মো. বদরুদ্দোজা সাগর, বখতিয়ার শিকদার ও রবি শংকর মৈত্রী মিলে প্রাইভেট স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিষ্ঠার জন্য বার্ডস আই ম্যাস মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন পিএলসি নামের একটি প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নেন। কোম্পানি গঠনের সময় মামলার বাদী ৭ হাজার প্রাথমিক শেয়ার এবং বখতিয়ার শিখদার, রবি শংকর মৈত্রী ও বদরুদ্দোজা সাগর প্রত্যেকে ১ হাজার করে সর্বমোট ১০ হাজার শেয়ার নেন, যার প্রাথমিক মূলধন ১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।

২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর সৈয়দ সামস বার্ডস আই মাস মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন পিএলসির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং গান বাংলা স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল (প্রস্তাবিত) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকার সময় আমানুল্লাহ খানের বাসায় যান।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আনুমানিক রাত ৮টার দিকে আসামি কৌশিক হোসেন তাপস, ফারজানা মুন্নী, সৈয়দ নাবিল আশরাফসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন কিছু কাগজ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। কোশিক হোসেন তাপস ও সৈয়দ নাবিল আশরাফ হাতে থাকা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ফিল্মি কায়দায় সকল আসামির সহযোগিতায় সৈয়দ শামস উদ্দিন আহমেদ ও মো. বদরুদ্দোজা সাগরকে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে বলে।

আটকাবস্থায় আসামিদের কথাবার্তায় বাদী বুঝতে পারেন যে, আসামিরা বার্ডস আই ম্যাস মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন পিএলসি নামে কোম্পানিতে বাদী ও বদরুদ্দোজা সাগরের ৮ হাজার শেয়ারের মালিকানা আত্মসাৎ করবে। এক পর্যায়ে বাদী ও মো. বদরুদ্দোজা সাগর প্রাণনাশের ভয়ে কাগজে স্বাক্ষর করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সেদিন স্বাক্ষর নেওয়ার পর আসামিরা হুমকি দেয়, কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়ে কারও কাছে কোনো তথ্য ফাঁস করলে তৎকালীন প্রশাসনকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে মামলায় জড়াবে এবং প্রয়োজনে জীবন শেষ করে দিবে।

 

‘গান বাংলা’ দখলের অভিযোগে তাপস-মুন্নীসহ ৫ জনের নামে মামলা

আপডেট সময়: ১২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের একমাত্র সঙ্গীতভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল ‘গান বাংলা। এবার সেই গান বাংলা’র অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে গানভিত্তিক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার মালিকানা দখলের অভিযোগে কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সৈয়দ শামস উদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তি গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ছানাউল্ল্যাহর আদালতে এই মামলার আবেদন করেন।

এসময় আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ওসিকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন। শুক্রবার মামলা দায়েরের বিষয়টি আদালত সূত্রে জানা যায়।

মামলায় গান বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাপস ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান মুন্নী ছাড়া অন্য আসামীরা হলেন, রবি শংকর মৈত্রী, এম. আমানুল্লাহ খান (চঞ্চল খান), সৈয়দ নাবিল আশরাফ।

এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। আগামী ৯ ডিসেম্বর তাপসকে তার উপস্থিতিতে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো বিষয়ে শুনানি হবে।

গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৫ জুলাই মো. বদরুদ্দোজা সাগর, বখতিয়ার শিকদার ও রবি শংকর মৈত্রী মিলে প্রাইভেট স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিষ্ঠার জন্য বার্ডস আই ম্যাস মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন পিএলসি নামের একটি প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসের কার্যালয় থেকে নিবন্ধন নেন। কোম্পানি গঠনের সময় মামলার বাদী ৭ হাজার প্রাথমিক শেয়ার এবং বখতিয়ার শিখদার, রবি শংকর মৈত্রী ও বদরুদ্দোজা সাগর প্রত্যেকে ১ হাজার করে সর্বমোট ১০ হাজার শেয়ার নেন, যার প্রাথমিক মূলধন ১ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়।

২০১১ সালের ২২ ডিসেম্বর সৈয়দ সামস বার্ডস আই মাস মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন পিএলসির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং গান বাংলা স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল (প্রস্তাবিত) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকার সময় আমানুল্লাহ খানের বাসায় যান।

অভিযোগে আরও বলা হয়, আনুমানিক রাত ৮টার দিকে আসামি কৌশিক হোসেন তাপস, ফারজানা মুন্নী, সৈয়দ নাবিল আশরাফসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন কিছু কাগজ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। কোশিক হোসেন তাপস ও সৈয়দ নাবিল আশরাফ হাতে থাকা অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ফিল্মি কায়দায় সকল আসামির সহযোগিতায় সৈয়দ শামস উদ্দিন আহমেদ ও মো. বদরুদ্দোজা সাগরকে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে বলে।

আটকাবস্থায় আসামিদের কথাবার্তায় বাদী বুঝতে পারেন যে, আসামিরা বার্ডস আই ম্যাস মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন পিএলসি নামে কোম্পানিতে বাদী ও বদরুদ্দোজা সাগরের ৮ হাজার শেয়ারের মালিকানা আত্মসাৎ করবে। এক পর্যায়ে বাদী ও মো. বদরুদ্দোজা সাগর প্রাণনাশের ভয়ে কাগজে স্বাক্ষর করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সেদিন স্বাক্ষর নেওয়ার পর আসামিরা হুমকি দেয়, কাগজপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়ে কারও কাছে কোনো তথ্য ফাঁস করলে তৎকালীন প্রশাসনকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে মামলায় জড়াবে এবং প্রয়োজনে জীবন শেষ করে দিবে।