ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাসিনার মতই বিমানের সংকেত অদৃশ্য করে পালিয়েছেন আসাদ

রাজধানী দামেস্ক দখলে নেওয়ার বিদ্রোহীদের ঘোষণার মুখে সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। আসাদ সিরিয়া ছাড়ার পর সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দামেস্ক বিমানবন্দর এবং প্রেসিডেন্টের বাসভবন ত্যাগ করে সরে যায়।

 

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বিমানের সংকেত গোপন করে ভারতে পালিয়ে যান, বাশার আল আসাদও সংকেত অদৃশ্য করে দেশ ছেড়েছেন।

বিদ্রোহীরা দামেস্ক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কিছুক্ষণ আগে ওপেন সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকাররা সিরিয়ার আকাশসীমায় একটি বিমান উড্ডয়নের রেকর্ড করে।

 

এতে দেখা যায়, ইলিউশিন ৭৬ বিমানটির ফ্লাইট নম্বর সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮। দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়া শেষ ফ্লাইট ছিল এটি। ওই ব্যক্তিগত উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পর বিমানবন্দর থেকে সরকারি সেনারা সরে যায়।

 

ধারণা করা হচ্ছে, দামেস্ক থেকে ছেড়ে যাওয়া শেষ ফ্লাইটে অবস্থান করছিলেন আসাদ। তবে তার গন্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

 

সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকারদের দাবি, এটি পূর্বদিকে উড়েছিল। তারপরে এটি উত্তরে ঘুরছিল। কয়েক মিনিট পরে, এটি হোমস শহর প্রদক্ষিণ করার সঙ্গে সঙ্গে এর সংকেত অদৃশ্য হয়ে যায়।

 

গত ৫ আগস্ট তীব্র প্রাণঘাতি গনআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ দেখে গণভবন থেকে কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে দেশ ছেড়ে পালান হাসিনা। হাসিনার পলায়নের পরপরই গণভবণ দখল নেয় লাখো বিক্ষু ছাত্র-জনতা।

 

হাসিনার ফ্লাইটপথ ও অবস্থান অন্যদের না জানাতে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ওই সময়। একটি উড়োজাহাজের অবস্থান, নাম, উচ্চতা, গতি এবং স্বয়ংক্রিয় জিওলোকেটার সিস্টেম জানাতে থাকে ট্রান্সপন্ডার। হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ভারতীয় আকাশসীমার কাছাকাছি প্রবেশের আগ পর্যন্ত এর ট্রান্সপন্ডার চালু করা হয়নি।

 

হাসিনার নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিতের পর গণভবন ছেড়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ঠিক একইভাবে আসাদ উড়োজাহাজে চেপে বসার পর বিমানবন্দর ছেড়ে যায় সরকারি বাহিনী।

হাসিনার মতই বিমানের সংকেত অদৃশ্য করে পালিয়েছেন আসাদ

আপডেট সময়: ০২:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজধানী দামেস্ক দখলে নেওয়ার বিদ্রোহীদের ঘোষণার মুখে সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। আসাদ সিরিয়া ছাড়ার পর সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দামেস্ক বিমানবন্দর এবং প্রেসিডেন্টের বাসভবন ত্যাগ করে সরে যায়।

 

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বিমানের সংকেত গোপন করে ভারতে পালিয়ে যান, বাশার আল আসাদও সংকেত অদৃশ্য করে দেশ ছেড়েছেন।

বিদ্রোহীরা দামেস্ক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কিছুক্ষণ আগে ওপেন সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকাররা সিরিয়ার আকাশসীমায় একটি বিমান উড্ডয়নের রেকর্ড করে।

 

এতে দেখা যায়, ইলিউশিন ৭৬ বিমানটির ফ্লাইট নম্বর সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮। দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়া শেষ ফ্লাইট ছিল এটি। ওই ব্যক্তিগত উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পর বিমানবন্দর থেকে সরকারি সেনারা সরে যায়।

 

ধারণা করা হচ্ছে, দামেস্ক থেকে ছেড়ে যাওয়া শেষ ফ্লাইটে অবস্থান করছিলেন আসাদ। তবে তার গন্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

 

সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকারদের দাবি, এটি পূর্বদিকে উড়েছিল। তারপরে এটি উত্তরে ঘুরছিল। কয়েক মিনিট পরে, এটি হোমস শহর প্রদক্ষিণ করার সঙ্গে সঙ্গে এর সংকেত অদৃশ্য হয়ে যায়।

 

গত ৫ আগস্ট তীব্র প্রাণঘাতি গনআন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ দেখে গণভবন থেকে কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে দেশ ছেড়ে পালান হাসিনা। হাসিনার পলায়নের পরপরই গণভবণ দখল নেয় লাখো বিক্ষু ছাত্র-জনতা।

 

হাসিনার ফ্লাইটপথ ও অবস্থান অন্যদের না জানাতে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ওই সময়। একটি উড়োজাহাজের অবস্থান, নাম, উচ্চতা, গতি এবং স্বয়ংক্রিয় জিওলোকেটার সিস্টেম জানাতে থাকে ট্রান্সপন্ডার। হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ভারতীয় আকাশসীমার কাছাকাছি প্রবেশের আগ পর্যন্ত এর ট্রান্সপন্ডার চালু করা হয়নি।

 

হাসিনার নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিতের পর গণভবন ছেড়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ঠিক একইভাবে আসাদ উড়োজাহাজে চেপে বসার পর বিমানবন্দর ছেড়ে যায় সরকারি বাহিনী।