ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোল ‘চুরি’ করে সতীর্থর কাছে ক্ষমা চাইলেন রাফিনিয়া

ঘরের মাঠ এস্তাদিও অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে নিয়ে গতকাল রাতে যেন ছেলেখেলাই খেলেছে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের ৪-০ ব্যবধানের জয়টা তেমনি ইঙ্গিত দেয়। সঙ্গে বল পজিশন, আক্রমণ সবকিছুতেই যোজন যোজন এগিয়ে ছিলেন হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।প্রথম লেগের বড় জয়ে সেমিফাইনালের পথটা যেন অনেকটা মসৃণই হয়েছে বার্সার।ফিরতি লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে কম ব্যবধানে হারলেও শেষ চার নিশ্চিত হবে তাদের। তাতে ২০১৯ সালের পর আবারও সেমিতে খেলবে বার্সা। এমন স্বস্তির জয়ের শুরুটা করেছেন রাফিনিয়া। যদিও প্রথম গোল তার সতীর্থ পাউ কুবারসিরই হওয়ার কথা ছিল।

 

কিন্তু প্রতিপক্ষের গোললাইন পেরোনোর আগে শেষ মুহূর্তে পা লাগিয়ে গোলটা নিজের করে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।অনেকেই তাই মজা করে বলছেন কুবারসির গোলটা ‘চুরি’ করেছেন রাফিনিয়া। তাই ম্যাচ শেষে গোলটা নিয়ে সতীর্থের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। তবে কি কারণে শেষ মুহূর্তে পা লাগিয়েছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী উইঙ্গার।তিনি বলেছেন, ‘প্রথম গোলের সময় আমি অফসাইডে ছিলাম কি না তা নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। এটা ভালো যে পরে গোলই দিয়েছে। কুবারসির কাছে ক্ষমা চেয়েছি। সে অ্যাসিস্ট হিসেবেই গণনা করবে বলে আমাকে চিন্তা করতে মানা করেছে। ভেবেছিলাম বলটা বাইরে যাবে, তাই মুহূর্তের মধ্যেই সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিই।

 

রাফিনিয়ার পর জোড়া গোল করেছেন রবার্ট লেভানডফস্কি। আর ডর্টমুন্ডের জালে শেষ পেরেক মারেন আক্রমণভাগের আরেক সেনানী তরুণ ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল। গতকালের গোলে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে গেছেন রাফিনিয়া। ১২ গোল করা এই ফরোয়ার্ড সঙ্গে ৭ অ্যাসিস্ট করে লিওনেল মেসির একটি কীর্তিও স্পর্শ করেছেন। ২০১১-১২ মৌসুমে বার্সার হয়ে সমান ১৯ গোলে অবদান রেখেছিলেন মেসি। ৮বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে অবশ্য ছাড়িয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন রাফিনিয়া।

 

দলের এমন জয়ে যারপরনাই খুশি রাফিনিয়া। তিনি বলেছেন, ‘শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলারদের সঙ্গে খেলাটা উপভোগ করি। মাঠে আমরা একে-অপরকে খুব ভালো করেই জানি। আর এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ফল হিসেবে আমরা দারুণ কিছু অর্জন করছি এবং আশা করি, ধারাটা অব্যাহত রাখতে পারব।’রাফিনিয়া-লেভানডফস্কিরা যে একে-অপরকে খুব ভালো করে চেনেন তার প্রমাণ বার্সার গোলসংখ্যাও দিচ্ছে। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৯৯ গোল করেছে বার্সা। এর মধ্যে ২১বার কমপক্ষে ৪ গোল দিয়েছে প্রতিপক্ষের জালে। মোট গোলের ৮২টি করেছেন আক্রমণভাগের ত্রিফলা- লেভা (৪০), রাফিনিয়া (২৮) ও ইয়ামাল (১৪)।

গোল ‘চুরি’ করে সতীর্থর কাছে ক্ষমা চাইলেন রাফিনিয়া

আপডেট সময়: ০৭:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

ঘরের মাঠ এস্তাদিও অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে নিয়ে গতকাল রাতে যেন ছেলেখেলাই খেলেছে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের ৪-০ ব্যবধানের জয়টা তেমনি ইঙ্গিত দেয়। সঙ্গে বল পজিশন, আক্রমণ সবকিছুতেই যোজন যোজন এগিয়ে ছিলেন হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।প্রথম লেগের বড় জয়ে সেমিফাইনালের পথটা যেন অনেকটা মসৃণই হয়েছে বার্সার।ফিরতি লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে কম ব্যবধানে হারলেও শেষ চার নিশ্চিত হবে তাদের। তাতে ২০১৯ সালের পর আবারও সেমিতে খেলবে বার্সা। এমন স্বস্তির জয়ের শুরুটা করেছেন রাফিনিয়া। যদিও প্রথম গোল তার সতীর্থ পাউ কুবারসিরই হওয়ার কথা ছিল।

 

কিন্তু প্রতিপক্ষের গোললাইন পেরোনোর আগে শেষ মুহূর্তে পা লাগিয়ে গোলটা নিজের করে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।অনেকেই তাই মজা করে বলছেন কুবারসির গোলটা ‘চুরি’ করেছেন রাফিনিয়া। তাই ম্যাচ শেষে গোলটা নিয়ে সতীর্থের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। তবে কি কারণে শেষ মুহূর্তে পা লাগিয়েছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী উইঙ্গার।তিনি বলেছেন, ‘প্রথম গোলের সময় আমি অফসাইডে ছিলাম কি না তা নিয়ে একটু চিন্তায় ছিলাম। এটা ভালো যে পরে গোলই দিয়েছে। কুবারসির কাছে ক্ষমা চেয়েছি। সে অ্যাসিস্ট হিসেবেই গণনা করবে বলে আমাকে চিন্তা করতে মানা করেছে। ভেবেছিলাম বলটা বাইরে যাবে, তাই মুহূর্তের মধ্যেই সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিই।

 

রাফিনিয়ার পর জোড়া গোল করেছেন রবার্ট লেভানডফস্কি। আর ডর্টমুন্ডের জালে শেষ পেরেক মারেন আক্রমণভাগের আরেক সেনানী তরুণ ফরোয়ার্ড লামিনে ইয়ামাল। গতকালের গোলে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে গেছেন রাফিনিয়া। ১২ গোল করা এই ফরোয়ার্ড সঙ্গে ৭ অ্যাসিস্ট করে লিওনেল মেসির একটি কীর্তিও স্পর্শ করেছেন। ২০১১-১২ মৌসুমে বার্সার হয়ে সমান ১৯ গোলে অবদান রেখেছিলেন মেসি। ৮বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীকে অবশ্য ছাড়িয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন রাফিনিয়া।

 

দলের এমন জয়ে যারপরনাই খুশি রাফিনিয়া। তিনি বলেছেন, ‘শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলারদের সঙ্গে খেলাটা উপভোগ করি। মাঠে আমরা একে-অপরকে খুব ভালো করেই জানি। আর এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ফল হিসেবে আমরা দারুণ কিছু অর্জন করছি এবং আশা করি, ধারাটা অব্যাহত রাখতে পারব।’রাফিনিয়া-লেভানডফস্কিরা যে একে-অপরকে খুব ভালো করে চেনেন তার প্রমাণ বার্সার গোলসংখ্যাও দিচ্ছে। এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৯৯ গোল করেছে বার্সা। এর মধ্যে ২১বার কমপক্ষে ৪ গোল দিয়েছে প্রতিপক্ষের জালে। মোট গোলের ৮২টি করেছেন আক্রমণভাগের ত্রিফলা- লেভা (৪০), রাফিনিয়া (২৮) ও ইয়ামাল (১৪)।