ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় প্রতিদিন রক্তে ভিজছে ফিলিস্তিনের মাটি। শিশু, নারী, সাধারণ মানুষ—নিহত হচ্ছে নির্বিচারে। এই হৃদয়বিদারক বাস্তবতা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। বাংলাদেশের মানুষও প্রতিবাদে সোচ্চার, পিছিয়ে নেই শোবিজ তারকারাও। এবার সেই প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠলো একঝাঁক শিল্পীর একাত্ম গানে—‘আকাশে উড়ছে মৃত লাশ’।
এই গানটির উদ্যোগ ও সুর-সংগীতায়োজন করেছেন গায়ক ও সুরকার জাহিদ নিরব। হৃদয়ছোঁয়া কথাগুলো লিখেছেন তুষার রহমান। গানের প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি সুরে উঠে এসেছে শোক, ক্ষোভ, এবং প্রতিবাদের তীব্র আবেদন।
গানে কণ্ঠ দিয়েছেন যারা:
এই প্রতিবাদী সংগীতের কণ্ঠ দিয়েছেন দেশের একাধিক জনপ্রিয় ও প্রতিশ্রুতিশীল কণ্ঠশিল্পী—
-
ইমরান মাহমুদুল
-
দিলশাদ নাহার কনা
-
আতিয়া আনিশা
-
মহাবী
-
নিবির
-
তুষার
-
নাইম
গানটির সাউন্ড ডিজাইন করেছেন সুমন পারভেজ এবং এটি সাউন্ড অব সাইলেন্স স্টুডিওতে রেকর্ড করা হয়েছে। সুরের দিক থেকে এটি শান্ত, তবে আবেগে গভীর—একটি গভীর আর্তনাদ।
গানের পেছনের অনুপ্রেরণা
গানটির শিরোনাম ও ভাবনা এসেছে গাজা থেকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভাইরাল ভিডিও থেকে, যেখানে বিস্ফোরণের পর আকাশে ছিটকে পড়া মৃতদেহের মর্মন্তুদ দৃশ্য ধরা পড়েছিল। সেই দৃশ্য হৃদয়ে দাগ কেটেছিল শিল্পীদের—ফলে সৃষ্টি হয়েছে এই গান, যা শুধু একটি সংগীত নয়, বরং একটি প্রতিবাদের শিল্পরূপ।
জাহিদ নিরবের বক্তব্য
এই গান প্রসঙ্গে জাহিদ নিরব বলেন,
“আমি বিশ্বাস করি, প্রতিবাদের তিনটি ভাষা রয়েছে—নীরবতা, শব্দ আর রক্ত। এই সময়ে আমি শব্দকেই বেছে নিয়েছি। গানে গানে প্রতিবাদ জানিয়েছি। এটি আমার জন্য শুধু একটি গান নয়, বরং একটি আর্তনাদ—নিষ্পাপ শিশুদের, মায়েদের আর নিঃস্ব মানুষদের হয়ে তোলা এক চিৎকার। প্রতিদিন যখন গাজার আকাশে লাশ উড়ে বেড়ায়, তখন চুপ করে থাকা যায় না। আমি যুদ্ধ চাই না, মৃত্যুও চাই না। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠ তো তুলতেই হয়। এই গান সেই সাহসিকতারই এক ছোট্ট প্রকাশ।”
এই গান কেবল সংগীতপ্রেমীদের মন ছুঁয়ে যাবে না, বরং সবার মনে জাগিয়ে তুলবে এক মানবিক প্রশ্ন—আর কতকাল চলবে এই রক্তপাত, এই অমানবিকতা?
‘আকাশে উড়ছে মৃত লাশ’—একটি প্রতিবাদ, একটুকরো সংবেদন, এক বিশুদ্ধ ভালোবাসা ফিলিস্তিনের প্রতি।