ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“দুজনের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক হলে বিয়ে বাধ্যতামূলক নয়” রুদ্রনীল ঘোষ

অভিনেতা ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্রে। সম্প্রতি এক পডকাস্ট শোতে অংশ নিয়ে বিয়ে ও সম্পর্ক নিয়ে দেওয়া তার মন্তব্য ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।

পডকাস্টে রুদ্রনীল বলেন, “দুজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ যদি পারস্পরিক সম্মতিতে ঘনিষ্ঠ হন, তাহলে সেটা বিয়ের দায়বদ্ধতা তৈরি করে না। শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে কারো ওপর বিয়ে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।”

অভিনেতার বক্তব্য অনুযায়ী, “সম্মতিতে যদি শারীরিক সম্পর্ক হয়, তাহলে সেটা কেবলমাত্র ব্যক্তিগত স্তরে দুজনের বোঝাপড়া। বিছানায় যাওয়ার মানেই বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া নয়।” তিনি আরও বলেন, “একজন বিয়ে করতে চাইছেন বলেই অন্যজনকে করতে হবে—এমনটা বাধ্যতামূলক নয়।”

রুদ্রনীল এই প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান আইনে নারীরা অনেক বেশি আইনি সুবিধা পান, এবং সেই সুযোগকে কেউ কেউ অপব্যবহারও করে থাকেন। তিনি বলেন, “আইনের অপব্যবহারে অনেক পুরুষ ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হন।”

পডকাস্টে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন অভিনেতা। জানান, তার এক প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে গেলে প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে আইনি পদক্ষেপ নেন। রুদ্রনীল তখন ক্যারিয়ার গঠনের দিকে মনোযোগ দিতে চেয়েছিলেন বলে বিয়েতে অনিচ্ছুক ছিলেন।

এই ঘটনার সূত্র ধরেই অভিনেতা এই মন্তব্য করেন যে, “শারীরিক ঘনিষ্ঠতা মানেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি নয়”—এ কথা সমাজে আরও স্পষ্টভাবে বোঝানো উচিত।

এই মন্তব্য ঘিরে নেটদুনিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ রুদ্রনীলের বক্তব্যকে সমর্থন করছেন ‘ব্যক্তিস্বাধীনতা’র দৃষ্টিকোণ থেকে, আবার কেউ একে দেখছেন সম্পর্কের প্রতি দায়িত্বহীনতার প্রকাশ হিসেবে।

“দুজনের সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক হলে বিয়ে বাধ্যতামূলক নয়” রুদ্রনীল ঘোষ

আপডেট সময়: ০৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

অভিনেতা ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ ফের একবার বিতর্কের কেন্দ্রে। সম্প্রতি এক পডকাস্ট শোতে অংশ নিয়ে বিয়ে ও সম্পর্ক নিয়ে দেওয়া তার মন্তব্য ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে চলছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা।

পডকাস্টে রুদ্রনীল বলেন, “দুজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ যদি পারস্পরিক সম্মতিতে ঘনিষ্ঠ হন, তাহলে সেটা বিয়ের দায়বদ্ধতা তৈরি করে না। শুধুমাত্র শারীরিক সম্পর্কের ভিত্তিতে কারো ওপর বিয়ে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়।”

অভিনেতার বক্তব্য অনুযায়ী, “সম্মতিতে যদি শারীরিক সম্পর্ক হয়, তাহলে সেটা কেবলমাত্র ব্যক্তিগত স্তরে দুজনের বোঝাপড়া। বিছানায় যাওয়ার মানেই বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া নয়।” তিনি আরও বলেন, “একজন বিয়ে করতে চাইছেন বলেই অন্যজনকে করতে হবে—এমনটা বাধ্যতামূলক নয়।”

রুদ্রনীল এই প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমান আইনে নারীরা অনেক বেশি আইনি সুবিধা পান, এবং সেই সুযোগকে কেউ কেউ অপব্যবহারও করে থাকেন। তিনি বলেন, “আইনের অপব্যবহারে অনেক পুরুষ ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হন।”

পডকাস্টে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন অভিনেতা। জানান, তার এক প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে গেলে প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে আইনি পদক্ষেপ নেন। রুদ্রনীল তখন ক্যারিয়ার গঠনের দিকে মনোযোগ দিতে চেয়েছিলেন বলে বিয়েতে অনিচ্ছুক ছিলেন।

এই ঘটনার সূত্র ধরেই অভিনেতা এই মন্তব্য করেন যে, “শারীরিক ঘনিষ্ঠতা মানেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি নয়”—এ কথা সমাজে আরও স্পষ্টভাবে বোঝানো উচিত।

এই মন্তব্য ঘিরে নেটদুনিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ রুদ্রনীলের বক্তব্যকে সমর্থন করছেন ‘ব্যক্তিস্বাধীনতা’র দৃষ্টিকোণ থেকে, আবার কেউ একে দেখছেন সম্পর্কের প্রতি দায়িত্বহীনতার প্রকাশ হিসেবে।