ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবি মানা না হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

 

রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অপসারণ দাবি করে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তারা উপাচার্যবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানও দেন।

 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে তার গদিতে আগুন জ্বালানোর প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেন। গত ১৪ এপ্রিল রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তবে সে তালিকা এখনো প্রকাশ করেনি কুয়েট কর্তৃপক্ষ।

 

এ ছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ৪ মে এবং আবাসিক হলগুলো ২ মে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সিন্ডিকেট সভায়। ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

 

১৩ ও ১৪ এপ্রিল তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনের খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানোর পর ১৫ এপ্রিল সকালে তালা ভেঙে হলে ওঠেন। এরপর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফার ঘোষণা করে প্রতিদিনই কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

 

অন্যদিকে, কুয়েটের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত বুধ ও বৃহস্পতিবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন উপাচার্যের পক্ষে অবস্থান নেন।

 

উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদল ও স্থানীয় যুবদল-বিএনপি-এলাকাবাসীর সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ১৩ এপ্রিল কর্তৃৃপক্ষের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান।

কুয়েট উপাচার্যকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

আপডেট সময়: ০৭:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দাবি মানা না হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

 

রবিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অপসারণ দাবি করে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। তারা উপাচার্যবিরোধী বিভিন্ন স্লোগানও দেন।

 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে তার গদিতে আগুন জ্বালানোর প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেন। গত ১৪ এপ্রিল রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তবে সে তালিকা এখনো প্রকাশ করেনি কুয়েট কর্তৃপক্ষ।

 

এ ছাড়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ৪ মে এবং আবাসিক হলগুলো ২ মে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় সিন্ডিকেট সভায়। ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে রাতেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

 

১৩ ও ১৪ এপ্রিল তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনের খোলা আকাশের নিচে রাত কাটানোর পর ১৫ এপ্রিল সকালে তালা ভেঙে হলে ওঠেন। এরপর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের এক দফার ঘোষণা করে প্রতিদিনই কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

 

অন্যদিকে, কুয়েটের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা গত বুধ ও বৃহস্পতিবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন উপাচার্যের পক্ষে অবস্থান নেন।

 

উল্লেখ্য, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটের শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদল ও স্থানীয় যুবদল-বিএনপি-এলাকাবাসীর সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ১৩ এপ্রিল কর্তৃৃপক্ষের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান।