বাংলাদেশ টানা দুই বছর ধরে বিশ্বব্যাংকের **খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি তালিকার ‘লাল শ্রেণি’**তে রয়েছে। এই শ্রেণিভুক্ত দেশের ক্ষেত্রে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাধারণত ৫ থেকে ৩০ শতাংশ-এর মধ্যে অবস্থান করে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক প্রতি ছয় মাস অন্তর খাদ্য নিরাপত্তা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে একটি হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশসহ মোট ১৫টি দেশ এখন লাল তালিকায় রয়েছে। এই তালিকায় আরও রয়েছে কঙ্গো, ভারত, ইথিওপিয়া, পাকিস্তান, মাদাগাস্কার, ঘানা ও রাশিয়ার মতো দেশ।
বিশ্বব্যাংক চারটি শ্রেণিতে দেশগুলোকে ভাগ করেছে:
-
বেগুনি: খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৩০ শতাংশের বেশি
-
লাল: ৫–৩০ শতাংশ
-
হলুদ: ২–৫ শতাংশ
-
সবুজ: ২ শতাংশের নিচে
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম ৪ থেকে ৮ শতাংশ পর্যন্ত কমলেও ভবিষ্যতে তা আবার বাড়তে পারে। বিশেষ করে সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ ঝুঁকি বাড়ছে। বর্তমানে ভুট্টার দাম ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, তবে চালের দাম দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
বাংলাদেশে গত তিন বছর ধরেই উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিদ্যমান, তবে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার গত এক বছরে আরও বেড়েছে। ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এক বছরের গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০.৪৪ শতাংশ, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক।