বাংলাদেশের এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সম্প্রতি একটি মন্তব্য করেছিলেন, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, কলকাতা দখল করতে বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে এবং ভারতও নয়, আমেরিকা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে টিকতে পারবে না। এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে ।
বিশেষ করে, সামরিক দিক থেকে ভারত বাংলাদেশের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী, এবং কূটনৈতিকভাবে এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করা হচ্ছে।
এই হুমকির পর, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলাদেশ বিষয়ক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “কেউ কেউ বলছেন কলকাতা দখল করবে, বিহার দখল করবে। যারা এমন কথা বলছেন, তারা ভাবছেন আমরা কি ললিপপ খাবো?” তিনি আরও বলেন, “এটা ভাবার কারণ নেই যে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবো, তবে আমরা শান্তি চাই, হিংসা নয়।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, তবে তিনি সবাইকে সংযত আচরণ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে অত্যাচার চলছে, সেটা আমরা কেউ ভালো চোখে দেখছি না।”
এছাড়া, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা কুণাল ঘোষ বিজেপিকে তোপ দেগে বলেন, “তোমরা কেন মিছিল করছ, তোমাদের দল তো দিল্লিতে। দিল্লিতে গিয়ে বলো, অ্যাকশন নিচ্ছে না কেন? বাংলাদেশে হিন্দুরা মার খেলে সেটি থামানোটা কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত, কিন্তু তারা ভোট মার্কেটিং করছে।”
এমন পরিস্থিতিতে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও আলোচনার জন্ম দিয়েছে।